Koel Mallick: ১০১ বছরে পা, ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে উমার আরাধনায় কোয়েল, 'এই বছরটা আরও বেশি স্পেশাল, কারণ..'
Koel Mallick On Durga Puja : ১০১ বছরে পা দিল ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো, কী বলছেন কোয়েল ?

হিন্দোল দে, কলকাতা: ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে উমার আরাধনা। ১০১ বছরে পা দিল এই বনেদি বাড়ির পুজো। মহাষ্টমীতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বাইরে থেকেও অনেকে আসেন ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির কুমারী পুজো দেখতে। অষ্টমীর অঞ্জলি শেষে চলে ভোগ খাওয়া। অভিনেত্রী হিসেবে নয়, পুজোর ক’টাদিন বাড়ির মেয়ে হিসেবে অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত থাকেন কোয়েল মল্লিক। এবার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়ির পুজোয় শামিল হয়েছেন কোয়েল। পরিবারের সঙ্গে মিলেমিশে পুজোর আড্ডায় মেতেছেন প্রবীণ অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকও।
আরও পড়ুন, দিল্লির CR পার্কের দুর্গাপুজোয় আরতি প্রধানমন্ত্রী মোদির
এদিন কোয়েল এবিপি আনন্দ-কে জানিয়েছেন, মল্লিক বাড়ির পুজো মানেই তো, যেটা আমি ছোটো বয়স থেকেই যেটা আমি সবসময় বলে থাকি, এই পুজোর কটা দিন, আবার সেই ছোটোবেলায় ফিরে যাই। সেই ছেলেবেলায় ফিরে যাই। সবাই কীরকম একটা কবিরের বয়সে চলে যাই। ৫ বছরের বয়সে। সেটা আমার বাবা হোক, কিংবা আমি। এই বছরটা আরও বেশি স্পেশাল। কারণ এটা কাব্যর প্রথম বছর। তাই জন্য আরও বেশি স্পেশাল। মহাঅষ্টমী, যেরকম সকালবেলা আমাদের কুমারীপুজো হল, তারপর আরতি, সন্ধ্যাআরতি, মাঝখানে অঞ্জলি দিলাম। ভীষণই ভীষণই আনন্দ করছি। প্রতিবছরের মতো এবারও খুব মজা লাগছে। ১০১ বছর পূর্ণ হল এবার। আগের বছরটা ১০০ বছর কাটিয়েছি। স্পেশালভাবে সেলিব্রেট করেছিলাম। এবারেও ডেফিনেটলি ১০০ এর পর থেকে আরও বেশি বেশি স্পেশাল হবে বলে মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, কারও বয়স দেড়শো, কোনও পুজো ১৯০ বছরের পুরনো। আগের সেই জাঁকজমক আর নেই। কিন্তু, রয়ে গেছে ঐতিহ্য এবং পুরনো রীতি-নীতি। সেই পরম্পরা মেনে আজও পুজো হয়ে আসছে বনেদি বাড়িগুলোয়। সেই রাজপাট, জমিদারি আর নেই। কিন্তু ঐতিহ্য আর বনেদিয়ানা আজও অটুট। হুগলির দশঘড়ার সাহা বাড়ির পুজো ১৯০ বছরের পুরনো। কথিত আছে, সাহা বংশের পূর্বপুরুষ ঈশ্বর চন্দ্র সাহার স্ত্রী-কে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন তাঁর আরাধনা করার জন্য। সে বছরই ঘট স্থাপন করে পুজো শুরু হয়। তার পরের বছর দুর্গা দালান তৈরি করে প্রতিমা এনে শুরু হয় মাতৃবন্দনা। এখনও সেই প্রাচীন রীতি মেনে অষ্টমীতে সন্ধিপুজো হয়।
পরিবারের মঙ্গল কামনায় মাথায় আর দুহাতে মাটির সরা বসিয়ে তাতে আগুন জ্বালানো হয়। ঠাকুর দালানের সিঁড়িতে জ্বলে ওঠে ১০৮ প্রদীপের আলো। সাড়ে ৩৭ কিলো চাল, বিভিন্ন রকমের ফল, মশলা, মাখন, মিষ্টান্ন, দই দিয়ে তৈরি হয় দেবীর নৈবেদ্য। আগে দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর চল ছিল। কালের নিয়মে সে রীতি বন্ধ হয়েছে। গতবছর পর্যন্তও সপ্তমী থেকে নবমী তিন দিনে তিনটি ছাগল বলি ও ফল বলি দেওয়া হত। এবছর থেকে সে পাট চুকেছে।






















