Kolkata Building Collapsed: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে স্থানীয় কাউন্সিলরকে আড়ালের চেষ্টা মেয়রের? কেন উঠছে এমন অভিযোগ?
Garden Reach Building Collapsed: বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ তুলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দিকেও।
কলকাতা: কাউন্সিলরের পক্ষে বেআইনি নির্মাণের কথা জানা সম্ভব নয়। গার্ডেনরিচের (Kolkata Building Collapsed ) ঘটনাস্থলে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে কি কাউন্সিলর শামস ইকবালকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন মেয়র? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এদিকে, শামস ইকবালের পাঁচ কোটি টাকার গাড়ি কেনার প্রসঙ্গ টেনে, আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তুলেছেন তাঁকে গ্রেফতারির দাবিও।
মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে মৃত্যুমিছিল বেঘোরে প্রাণ গেল একের পর এক বাসিন্দার। প্রাণ চলে যাওয়ার দায় নেওয়া নিয়েই চলছে দায় ঠেলাঠেলির পালা। কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের পরপর ২ বারের তৃণমূল কাউন্সিলর শামস ইকবাল। তাঁর ওয়ার্ডেই ঘটে গেছে এই ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু এই বেআইনি নির্মাণের কথা কি জানতেন না স্থানীয় কাউন্সিলর?
তৃণমূল কাউন্সিলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Building Collapsed) সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটারের পাশাপাশি এলাকার কাউন্সিলরকেও গ্রেফতার করা উচিত। ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে তিনি ৯৮.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। যা কলকাতা পুরসভায় সর্বোচ্চ। বেআইনি নির্মাণের রাজা এই শামস ইকবাল। তিনিই এক বার অ্যাস্টন মার্টিন গাড়ি নিয়ে পুরসভায় গিয়েছিলেন এবং শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। মানুষের জীবনের মূল্যে বিলাসবহুল জীবন গড়ে তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি যে গাড়িটি তিনি কিনেছেন, তার বাজারমূল্য পাঁচ কোটি টাকা। এক জন সাধারণ কাউন্সিলর কী ভাবে এত টাকা রোজগার করতে পারেন?'
এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ১৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবাল বলেন, 'উনি আগে যে টুইট করেছিলেন সেটাও মিথ্যে ছিল। এখনও উনি যা টুইট করছেন সেটাও মিথ্যে। আমার কাছে কোনও গাড়ি নেই। যদি উনি প্রমাণ করতে পারেন যে আমার কাছে এইসব গাড়ি আছে, তাহলে একটা ব্যাপার আছে। কিন্তু আমার কাছে কিছুই নেই।'
এই আবহেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। মেয়র বলেন, 'বারবার, আমি বারবার করে বলেছি যে কাউন্সিলর কোন বিল্ডিংটা আইনি, কোন বিল্ডিংটা বেআইনি কাউন্সিলরের জানার কথা না। প্রশাসনের জানার কথা।'
আর এখানেই নানা মহলে উঠছে প্রশ্ন তৃণমূল কাউন্সিলরকে কি আড়াল করার চেষ্টা করছেন মেয়র? সামনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে পুরসভার আধিকারিকদের? প্রশ্নটা আরও জোরাল হয়েছে, তার কারণ ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে শোকজ করেছে পুরসভা। তাহলে কি তৃণমূল কাউন্সিলরকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন মেয়র? তার বদলে সামনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে পুরসভার আধিকারিকদের?
কোনও জলাজমি বুজিয়ে কি তৈরি হয়েছিল ওই ভবনটা? শামস ইকবাল বলেন, 'আমি এটা একদমই জানতাম না। আমার কিছুই জানা ছিল না। এটা প্রথমবার আমি শুনছি। আমার জানা ছিল না। কোনও অভিযোগ নেই। কিছু নেই।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: চার মাস বয়সেই ২৪০ কোটির মালিক, নাতিকে উপহার নারায়ণ মূর্তির