Kolkata News: গানে মিষ্টি সিজন ৩: স্বাদ ও গানের যুগলবন্দি শহর কলকাতায়
Music: মিষ্টির স্বাদে মিশেছে ক্যাডবেরির আনন্দ। আর সেই আনন্দ আকাশ ছুঁয়েছে সুরের মূর্চ্ছনায়।
রুমা পাল, কলকাতা: মিষ্টি স্বাদে মিষ্টি সুরের সঙ্গত। রাজারহাটের সিটি সেন্টার টু-তে শুরু হল, ক্যাডবেরি গানে মিষ্টি সিজন থ্রি ফোক ফিউশন এডিশন (Folk Fusion)। এবার এই উদ্যোগে তুলে ধরা হয়েছে বাংলার পাঁচটি অঞ্চলের লোকসঙ্গীতকে। পাশাপাশি মিষ্টির কারিগরদেরও সংবর্ধনা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে (Kolkata News)।
অভিনব এই মেলবন্ধন নিয়ে হাজির ক্যাডবেরি গানে মিষ্টি সিজন থ্রি
মিষ্টির স্বাদে মিশেছে ক্যাডবেরির আনন্দ। আর সেই আনন্দ আকাশ ছুঁয়েছে সুরের মূর্চ্ছনায় (Music)। অভিনব এই মেলবন্ধন নিয়ে হাজির ক্যাডবেরি গানে মিষ্টি সিজন থ্রি। এই উদ্যোগে তাদের সঙ্গে রয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা এবং দ্য টেলিগ্রাফ। মিষ্টি স্বাদ ও মিষ্টি গানের যুগলবন্দিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি অঞ্চলের লোকসঙ্গীতকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের লোকসঙ্গীত গেয়েছেন রূপম ইসলাম এবং অনন্যা ভট্টাচার্য। গৌড়বঙ্গের ইতিহাস মেশা গানে গলা মিলিয়েছেন ইমন চক্রবর্তী ও সৌমিত্র রায়। রাঢ়বঙ্গের ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন লোপামুদ্রা মিত্র ও অর্কদীপ মিশ্র। গঙ্গা তীরের জীবনকাহিনী ধরা পড়েছে উপল সেনগুপ্ত ও প্রশ্মিতা পালের গলায়। আর অভিজিৎ বর্মন ওরফে পটা এবং উজ্জ্বয়িনী মুখোপাধ্যায়ের গলায় ভাটিয়ালির সুর।
আরও পড়ুন: TMC vs CPM: এক তালিকার পাল্টা অন্য তালিকা, এ বার পাল্টা আক্রমণে সুজন, তৃণমূল-সিপিএম তরজা তুঙ্গে
কলকাতা, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুরের মতো বড় শহর বাদে, ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্কের এই উদ্যোগকে উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। মন্জেলেজ ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র ডিরেক্টর মার্কেটিং বিক্রম কারওয়াল বলেন, "আমরা কলকাতা থেকে আরও একটু এগনোর চেষ্টা করছি। ১২ বছর ধরে করছি। এটা মিষ্টি শুধু নয়, কালচারাল বিষয়গুলিও মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"
রাজারহাটে সিটি সেন্টার টু-তে এই অনুষ্ঠান চলবে রবিবার পর্যন্ত। সেখানে মিষ্টি কারিগরদের সম্বর্ধনা জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই উদ্যোগকে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে
অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ শহরে এই প্রথম শুরু হল বাউল-ফকির উৎসব। ঐতিহাসিক পার্কের আমবাগানে বসেছে লোকগানের আসর। নবাবের শহরে নিতাই চাঁদের বাজার, গৌরচাঁদের দরবার, দোতারা, শ্রীখোলের যুগলবন্দি, বাউল-ফকিরের সুর, সব মিলেমিশে একাকার। এই প্রথম সেখানে শুরু হল দুদিনের ভাগিরথী বাউল ফকির উৎসব।
সেখানে মেঠো সুরে গলা মিলিয়ে পথ হাঁটলেন রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা বাউল ফকিররা। মুর্শিদাবাদ শহরের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গা গাড়িতেও শিল্পীদের নিয়ে যাওয়া হয়। অশান্ত সময়ে মানুষের মিলনমেলা হয়ে উঠুক ভাগীরথী বাউল ফকির উৎসব, উদ্যোক্তা থেকে শিল্পী, সবার এটাই প্রার্থনা।