Food Department: 'ধর্মঘটকারীদের শাস্তিমূলক বদলি' ? খাদ্যভবনে ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতে DA আন্দোলনকারীরা
Food Department DA agitators on Court:ঝাঁঝ বাড়ছে আরও ডিএ আন্দোলনের। এবার খাদ্যভবনে লাগাতার ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
কলকাতা: ঝাঁঝ বাড়ছে আরও ডিএ আন্দোলনের (DA Agitation)। এবার খাদ্যভবনে লাগাতার ধর্নার অনুমতি চেয়ে আদালতে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। খাদ্যভবনের ২ কর্মচারীকে বদলির প্রতিবাদ ও ১৪০০ পদের অবলুপ্তির অভিযোগ। খাদ্যভবনে কর্মবিরতি ও ধর্নার অনুমতি চেয়ে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি আন্দোলনকারীদের। ‘রাতে খাদ্যভবনে থাকার অনুমতি দেওয়া যাবে না’,জানিয়েছে নিউমার্কেট থানা, দাবি আন্দোলনকারীদের। তারই প্রতিবাদে আদালতে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আগামী সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিসে লাগাতার কর্মবিরতির ভাবনা আন্দোলনকারীদের।
প্রসঙ্গত, 'জনস্বার্থের নামে ধর্মঘটকারীদের শাস্তিমূলক বদলি আদেশনামা প্রত্যাহারের দাবি' জানিয়ে সম্প্রতি প্ল্যাকার্ড নিয়ে খাদ্যভবনের সামনে প্রতিবাদ জানায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (WB Govt Worker)। এই ইস্যুতেই ট্যুইটারে ভিডিও আপলোড করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি ট্যুইটে 'হ্যাটস অফ'ও জানিয়েছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, 'হ্যাটস অফ ! এই জিনিস আমরা দেখিনি গত ১২ বছরে। এটা এই প্রথমবার। দমন প্রেরণমূলক বদলির বিরুদ্ধে ঘিরে রেখেছে খাদ্য সচিবকে। আমি হ্যাটস অফ জানাই কর্মচারীদের । আপনাদের সঙ্গে আছি, কোনও শর্ত ছাড়াই আছি। আপনারা কোন দল করেন, না করেন , জানার দরকার নেই। ১২ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করেছেন। এর পরেই তিনি একজনের নাম নিয়ে উদাহরণ টানেন। বলেন, 'প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি বয়েস কৃষ্ণা বৈদ্য । শুধু বিজেপি করেন বলে, তাঁকে আলিপুরদুয়ারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তাঁকে আদালতে গিয়ে আবার ফিরে আসতে হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সরকারি অফিসে ধর্মঘট ( DA Strike ) রুখতে মার্চ মাসে কড়া বিবৃতি জারি করেছিল নবান্ন। কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না, সরকারের নির্দেশিকায় উল্লেখ। 'ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন,করা হবে শো-কজ'অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল। এই নির্দেশের পাল্টা,ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার দাবি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছিল কর্মচারী সংগঠন। অতিরিক্ত মুখ্য় সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতির যৌথ কমিটির সদস্য়রা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
তাৎপর্যপূর্ণভাবে ধর্মঘটের ঠিক আগের রাতেই, বিবৃতি জারি করে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেছিলেন,' কয়েকজন সরকারি কর্মী কয়েক সপ্তাহ ধরে অনশন করছেন জেনে আমি বেদনাহত। তাঁদের দাবির প্রতি অঙ্গীকার এবং সহকর্মীদের প্রতি দায়বদ্ধতা বুঝতে পারছি এবং তা প্রশংসনীয়ও। জীবন মূল্যবান, তাই প্রত্য়েককে অনশন প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করছি। সব সমস্যারই একটা সমাধান আছে। আমি বিশ্বাস করি, এই পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করতে সব পক্ষই এক সঙ্গে কাজ করবে। '