AIIMS Recruitment Scam: ভবানী ভবনে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
CID on Neeladrishekhar : সূত্রের খবর, বিধায়ক-কন্যা দাবি করেন, তিনি বাবার সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পান। এদিন ভবানী ভবনে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা ধরে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডি-র।
কলকাতা: কল্যাণী এইমসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (AIIMS Recruitment Scam) বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে (Neeladrishekhar Dana) জিজ্ঞাসাবাদ।এর আগে বাড়িতে গিয়ে নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ভবানীভবনে আসেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। তারপর ভবানী ভবনে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা ধরে বিজেপি বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিআইডির (CID)।
কল্যাণী AIIMS-এ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডি-র। এর আগে বাড়িতে গিয়ে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সূত্রের খবর, বিধায়ক-কন্যা দাবি করেন, তিনি বাবার সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পান। যদিও সিআইডি-র দাবি, কল্যাণী AIIMS কর্তৃপক্ষ জানায়, বিজেপি বিধায়ক তাঁর মেয়ের চাকরির জন্য হাসপাতালের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। যে বেসরকারি এজেন্সি নিয়োগ করেছিল, তারাও জানায়, চাকরির সুপারিশপত্র এসেছিল কল্যাণী AIIMS থেকে। এরপরই গত ৫ অগাস্ট নীলাদ্রিশেখর দানাকে তলব করে সিআইডি। হাজিরা দেননি বিজেপি বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এরপর সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট।
সম্প্রতি অন্যের গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু নকল করার অভিযোগে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের ( (Kalyani University Education Department) ডিনের পদ থেকে সরানো হয় দেবপ্রসাদ শিকদারকে। রাজ্য সরকার নিয়োগ করেছে, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এভাবে সরাতে পারে না। সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছেন অপসারিত ডিন। দুই জনের ২ টি গবেষণাপত্র। একটি ১৯৯৫ সালের, আরেকটি ৯৯ সালের। বিষয়বস্তু এক হলেও, একজন গবেষণা করেছেন বায়োলজি নিয়ে, আরেকজন ফিজিক্স নিয়ে। আর এই দুই গবেষণাপত্রকে ঘিরেই শোরগোল পড়ে গেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। অন্যের গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু নকল করার অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের ডিনকে।
আরও পড়ুন, মানিককে দেখানো হল জুতো, উঠল 'চোর' স্লোগান, কেন 'শাহ' ইস্যু টানলেন জয়প্রকাশ ?
১৯৯৫ সালের এই গবেষণাপত্রটি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগে জমা দিয়েছিলেন স্বদেশরঞ্জন সামন্ত নামে এক গবেষক। অভিযোগ, এই গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু নকল করেই ১৯৯৯ সালে গবেষণাপত্র জমা দেন দেবপ্রসাদ শিকদার নামে আর এক গবেষক। পরবর্তীকালে যিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাও শুরু করেন। ২০২১-এর ১৯ ফেব্রুয়ারি এডুকেশন বিভাগের ডিন পদে নিযুক্ত হন তিনি। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে গবেষণাপত্রের বিষয়বস্তু নকল করার মতো অভিযোগ ওঠে।