Baguiati Double Murder: 'অপমানের আক্রোশেই অতনুকে খুন', সিআইডি-র কাছে দাবি সত্যেন্দ্র-র
Cid Interrogation on Satyendra: বাগুইআটিকাণ্ডে খুনের কথা কবুল, তবে হুমকি মেসেজের কথা অস্বীকার মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বাগুইআটিকাণ্ডে ( Baguiati Double Murder Case) খুনের কথা কবুল করলেও মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ অথবা হুমকি মেসেজের কথা অস্বীকার মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর। সিআইডি (CID) সূত্রে খবরে এমনটাই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি কী কারণে খুন করেছে সে, সিআইডি-কে ইতিমধ্য়েই জানিয়েছে সত্যেন্দ্র।
গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত সত্যেন্দ্রকে জেরা করেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, জেরায় সত্যেন্দ্রর দাবি, ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রতারক বলে অপমান করত অতনু, সেই আক্রোশেই খুন। মেসেজ পাঠানো বা ৫০ হাজার টাকার জন্য খুনের দাবি আদৌ সঠিক কি না, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি গ্রেফতারির পরেও পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে বাগুইআটি জোড়া খুনের অভিযুক্ত। 'অতনুর থেকে নেওয়া বাইক কেনার ৫০ হাজার টাকা চাওয়ায় খুন। বারবার চাওয়ায় টাকা ফেরাতে না পারায় খুন অতনুকে। অতনুর সঙ্গে যাওয়ায় অভিষেককেও খুন।' জেরায় এমনটাই দাবি সত্যেন্দ্রর, গতকাল এমনটাই দাবি করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২৩ অগাস্ট ন্যাজাটে অতনুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় অতনুর পচাগলা দেহ উদ্ধার হলেও কেন চুপ করে ছিল বসিরহাট থানা? কেন সেই কথা জানাল না বসিরহাট থানা? উঠছে সেই প্রশ্ন। পাশাপাশি অভিষেকের দেহ উদ্ধার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাড়োয়ায় ইট বাঁধা অবস্থায় অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়, সেখানে দেহ ভাসতে দেখা যায়। পরে দেখা যায় প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে সেই প্যান্টে ইঁট বেঁধে রাখা হয়েছিল। যাতে জলের তলায় যাতে ডুবে থাকে দেহ।এভাবে দেহ দেখেও কেন খুন বলে সন্দেহ হয়নি পুলিশের, প্রশ্ন ওঠে। গত পরশু বাগুইআটি জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পাকড়াও করা হয়েছে।বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তাঁকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে সে গ্রেফতার হতেই মূল অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করলেন অতনুর মা।
বাগুইআটি জোড়া খুনের দু’ সপ্তাহ পরেও গতকাল অবধি অধরা ছিল মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী। জানা গিয়েছিল, পরপর মেসেজ করেছে, তা সত্ত্বেও লোকেশন ট্র্যাক করা যায়নি। কারণ বারাবার সিম বদল করায়, লোকেশন ধরা যাচ্ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরেই বাগুইআটিকাণ্ডে তদন্তে নামে সিআইডি-র হোমিসাইড শাখা। অবশেষে মিলল বড় সাফল্য।হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে।অবশেষে গ্রেফতার হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত-র মা। বুজে আসা গলায় বললেন, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।