Kolkata News: টিশার্টে 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই',সঙ্গে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্টিকার, 'আটক' অন ডিউটি ডাক্তার
Doctors Protest: ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কলকাতা: প্রতীকী অনশনকারী ব্যাজ পরে রেড রোডে উপস্থিত। 'আটক' কলকাতা পুরসভার (KMC) চিকিৎসক। পুজো কার্নিভালের (Durga Puja Carnival) মেডিক্যাল ক্যাম্পে ডিউটিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে আটকের অভিযোগ। ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হল কলকাতা পুরসভার 'আটক' চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
'আটক' চিকিৎসক: অবিলম্বে সসম্মানের সঙ্গে চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে ছাড়ার দাবি জানিয়েছে আইএমএ রাজ্য শাখা। হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা জানিয়েছে, অবিলম্বে সসম্মানের সঙ্গে না ছাড়লে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে অ্যাকশন কমিটি। এপ্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, "সমস্ত ভাইয়েরা বোনেরা না খেয়ে এখানে বসে আছে কিছু ন্যায্য দাবির জন্য। সেখানে একটি রাজ্যে একটি উৎসব চলছে, কার্নিভাল হচ্ছে আর সেখানে একজন ডাক্তার নিজে অনশনকারী লিখে গিয়েছিল বলে তাকে আটক করা হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।''
কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের সদস্য চিকিৎসক তপোব্রত রায়। মঙ্গলবার রাজ্য সরকার আয়োজিত পুজো কার্নিভালের মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাঁর ডিউটি ছিল।
তাঁর জামায় লেখা ছিল 'শিরদাঁড়া বিক্রি নেই'। পরেছিলেন প্রতীকী অনশনকারীর ব্যাজও। অভিযোগ, ওই ব্যাজ পরে আসার কারণেই কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে আটক করে ময়দান থানার পুলিশ। কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখা। বিবৃতিতে লেখা হয়, 'IMA-র ডাকে প্রতীকী অনশন সমর্থন করলেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কলকাতা পুলিশের এই আচরণের চরম নিন্দা জানাই। অবিলম্বে চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে সসম্মানে মুক্তি না দেওয়া হলে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।'
অন্যদিকে এদিন, আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে 'দ্রোহের কার্নিভাল'-এ অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের। কলকাতা পুলিশের জারি করা ১৬৩ নম্বর ধারা খারিজ করে দেওয়া হয়। হাইকোর্ট মন্তব্য করে, '১৬৩ নম্বর ধারা এইক্ষেত্রে প্রয়োগ অসামঞ্জস্যপূর্ণ, মাত্রাতিরিক্ত, অযৌক্তিক। মৌলিক অধিকারে এই ধরণের নিয়ন্ত্রণ সৎ উদ্দেশ্যে হতে পারে না। রাজ্যকে অসীম ক্ষমতা দেওয়া আছে। কিন্তু সেই ক্ষমতার ব্যবহার করে দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি আটকানো যায় না। ১৪৪ ধারা রক্ষার জন্য এই ধরণের বিধিনিষেধ সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত। এই ধরণের দমনপীড়নমূলক নীতি স্বেচ্ছাচারিতার রাস্তা খুলে দিতে পারে। সেইজন্যই কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Droha Carnival: খুলছে তালা লৌহকপাটের, তড়িঘড়ি ব্যারিকেড সরাচ্ছে রাজ্য