Kolkata News : খাস কলকাতায় মেয়েকে বাড়িতে আটকে রেখে যৌন-নির্যাতন, অবশেষে কী সাজা বাবার?
অভিযোগ, বড় মেয়েকে তিনি আটকে রাখতেন বাড়িতেই। দিনের পর দিন, মেয়েকে বাড়িতে আটকে রেখে, তার নাবালিকা মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন বাবা।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : একদিকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জ্বলছে শহর থেকে জেলা। নির্যাতিতার আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করার ডাক দিয়ে, আকাশ-বাতাল জুড়ে এখন একটাই স্লোগান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। এই পরিস্থিতিতে ফের আলোচনায় এক ঘৃণ্য ঘটনা। নিজের সন্তানকে নিগ্রহের ঘটনা, তাও আবার এই শহরের। কলকাতা শহরে ৮ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক ঘৃণ্য অপরাধের সাজা ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার।
আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে যখন দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে তখন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল বাবা। দীর্ঘ ৮ বছর পুরনো মামলায় বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করলেন পক্সো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য।
এই ঘটনা ২০১৬ সালের। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩ মেয়েকে নিয়ে করেয়া থানা এলাকায় একাই থাকতেন দোষী। স্ত্রীর মৃত্য়ুর পর, ছোট ২ মেয়েকে দিয়ে জোর করে পরিচারিকার কাজ, এমনকী পকেটমারিও করাতেন বলে অভিযোগ। তবে বড় মেয়েকে তিনি আটকে রাখতেন বাড়িতেই। দিনের পর দিন, মেয়েকে বাড়িতে আটকে রেখে, তার নাবালিকা মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন বাবা।
২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোনওভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে, করেয়া থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে শুরু হয় মামলার শুনানি। আলিপুরের বিশেষ পক্সো আদালতে শুনানি হয় এই মামলার। বুধবার অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্য়স্ত করে আদালত। বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান ওই ব্য়ক্তি। আর জি কর-কাণ্ডের আবহে এই ঘটনা আবারও একবার মনে প্রশ্ন জাগায় , মেয়েরা তাহলে নিরাপদ কোথায় ?
আরও পড়ুন : 'সব মিথ্যে, কিচ্ছু করেনি', ইডির জন্য বাড়ির তালা খুলে, কোন বিস্ফোরক দাবি সন্দীপের স্ত্রীর?
এই বছরের শুরুর দিকেই আবার একদম বিপরীতধর্মী একটি ঘটনা সামনে আসে। সেই ঘটনাটি ছিল মধ্যপ্রদেশের। ২০১২ সালের মার্চে তাঁর মেয়েকে জোর করে বাড়ির পাশের একটি কুঁড়েঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বাবার বিরুদ্ধে। মেয়েটি তার দাদুকে এই ঘটনা জানাতেই তদন্ত হয়। নিম্ন আদালত বাবাকেই দোষী সাব্যস্ত করে। তারপর উচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। এরপর ১২ বছর হাজতবাস করার পর ওই ব্যক্তিকে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দেয় উচ্চ আদালত।