(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kunal Ghosh: 'লোক হবে না বলে ভয়ে পালিয়ে গেল শুভেন্দু', ২১ জুলাইয়ে বিজেপি সভা নিয়ে পিছোতেই তোপ কুণালের
Kunal attacks Suvendu on HC issue: কলকাতা হাইকোর্টের শর্ত সাপেক্ষ অনুমতির পরেও পিছু হঠল বিজেপি। আর এরপরেই শুভেন্দুকে তোপ কুণালের।
কলকাতাঃ রাত পেরোলেই একুশে জুলাই। আর এই শহিদ দিবসকে ঘিরেই গেরুয়া-সবুজে চলছে বাক্যবাণ। তোপের পর তোপ। যাওবা আদালতের নির্দেশের পর টাটকা অক্সিজেন ঢুকল, তাও উসকে গেল পদ্ম শিবির। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতির পরেও পিছু হঠল বিজেপি। আর এই উলুবেড়িয়ার সভা নিয়েই এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বরাবরের ভঙ্গিমায় আক্রমণ করে বললেন, 'হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরেও লোক হবে না বলে পালিয়ে গেল শুভেন্দু।'
আরও পড়ুন, ২১ জুলাই জামা-কাপড় বাইরে শুকোতে পারেন, ওই দিন সব চোর কলকাতায় আসছে: শুভেন্দু
কখনও 'ওওও শুভেন্দু', কখনও 'বার্ণল নিয়ে রেডি থাকুন শুভেন্দু', কথা না বলেও যেন স্ট্যান্ড আপ কমেডির মতো নিস্তব্ধেই ভয়েস মডুউলেশন করে দেন কুণাল ঘোষ। স্টকে তাঁর হেইয়া বড় বড় সব রংচংয়ে ভিডিও। কখনও মুকুল রায়ের মতো বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোপ দাগতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি নাম গুলিয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই ভিডিও মাঝেসাঝে অলস দুপুরে আপলোড করে মজা করেন কুণাল ঘোষ। এদিকে এমন ভিডিও নেই কারও লাইব্রেরিতে। সবার হার্ডডিস্ক উড়ে গেলেও, এযেন কালকেরই ঘটনা। সেই হিসেবেই পুরোনো সহকর্মীকে মনে করে নেন একবার কুণাল ঘোষ। আর তাই তো তোপ দাগার সময় মুখের কোণে বেশ এক চিলতে হাসিটা অটুট থাকে। আর এবার বড় ইস্যু ২১ জুলাই। রাত পেরোলেই শহিদ দিবস। তাঁর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে একটু নিশানা করেই বোধয় মুচকি হাসলেন কুণাল ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের দিনেই ‘উলুবেড়িয়া চলো’ বলে ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। যেখানে প্রধানত বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে এই ২১ জুলাই শহিদ দিবস ঘিরে তৃণমূলের বড়সড় আয়োজন। সেই দিনেই সভা করতে হবে বিজেপির ? প্রধানমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচি থাকত তাও মানা যেত বলে ইতিমধ্যেই বলেছেন কুণাল ঘোষ। এদিকে ২১ জুলাইয়ে উলুবেড়িয়ায় সভা করার জন্য বিজেপি যে অনুমতি চেয়েছিল, বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত, সেটা বিকেল ৪ টের পরিবর্তে রাত ৮ থেকে বিজেপিকে সভা করার শর্ত সাপেক্ষ অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। এবং তাতে কোনও রাজ্যের পুলিশি বন্দ্য়োবস্তে কোথাও কোনও অসুবিধা হবে কিনা, রাজ্যের কাছে জানতে চায় কোর্ট। শর্ত শুধু একটাই কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। এদিকে শর্ত সাপেক্ষ অনুমতির পরেও শেষ অবধি সভা করা নিয়ে পিছু হঠে যায় বিজেপি। আর এর পরেই জোর কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।