Kunal Ghosh: 'কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে, চাকরি প্রার্থীরা ধর্ণা দিলে সামলাতে পারবেন তো ? ', প্রশ্ন কুণালের
Kunal on TET Agitation : 'পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?' করুণাময়ীতে জোর করে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন ভেঙে দিতেই কড়া নিন্দা করে ট্যুইট শুভেন্দুর, কী বললেন কুণাল ঘোষ ?
কলকাতা: করুণাময়ীতে জোর করে ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন ভেঙে দিতেই সরব বিরোধীরা। উল্লেখ্য, রাত বাড়তেই তেতে উঠছিল পরিস্থিতি (TET Agitation)। একদিকে আন্দোলনের ঝাঁঝ যেমন বাড়াচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তেমনই জমায়েত তুলতে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছিল পুলিশও (Police)। শেষমেশ মধ্যরাতে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে আন্দোলনকারীদের তুলে দেয় পুলিশ। এরপরেই এই ইস্যুতে কড়া নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি টুইটে লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?' আর এবার এই ইস্যুতেই পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ বলেন, 'বছরে ২ কোটির চাকরির ভাঁওতা দিয়ে আপনারা ভোট পেয়েছিলেন। এখন যদি রেল, সেনা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য সরকারি পরীক্ষাগুলিতে পাশ করে, যারা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন, তাঁরা যদি এবার, কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলির সামনে, চাকরির দাবিতে লাগাতার ধর্ণা শুরু করেন, তখন সামলাতে পারবেন তো ? ' প্রশ্ন তোলেন কুণাল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে সময় যত এগোচ্ছিল, ততই পুলিশের ভিড় বাড়ছিল করুণাময়ীতে। প্রিজন ভ্যানও এসে পৌঁছয় একে একে। এর পর মাইকিং শুরু করে পুলিশ। বলা হয়, আন্দোলনকারীদের জমায়েত। দুই মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে না উঠলে, উঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতোই মধ্যরাতে তুলে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারীদের হাত ধরে টেনে তুলে দেয় পুলিশ। তাতে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বেশ কয়েক জন চোট পান বলেও অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের তিনটি প্রিজন ভ্য়ানে তোলা হয়। অসুস্থ এক আন্দোলনকারীকে তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে।
আরও পড়ুন, 'হিটলারের বাহিনীর মতো অভিযান, নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ', ট্যুইটে ক্ষোভ অমিত মালব্যের
'আমরা কি চোর?', 'শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার মাঝে রাতের অন্ধকারে পুলিশ কেন তুলে দিল?'-র মতো প্রশ্নের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্বেও কীভাবে রাতের অন্ধকারে মহিলা চাকরিপ্রার্থীদের এভাবে জোর করে তুলে দেওয়া হয়, সেই প্রশ্নও তুললেন আন্দোলনকারীরা। রাগে-ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ব্যঙ্গের সুরে কেউ কেউ বললেন, 'আমাদের ন্যায্য চাকরি ঘুষের টাকায় বিক্রি করে দিয়ে পুলিশ দিয়ে জোর করে মধ্যরাতে তুলে দিচ্ছে আমাদের।'এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পর টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিশেষ কিছু না বললেও, ইঙ্গিতপূর্ণ একটি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি বললাম না, আমি এসব নিয়ে কিছু বলব না। আমি বললাম, যা বলার ব্রাত্য বলবে। কারণ, আমি তো জানি না ডিটেলস্।'