SSC Scam: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি-র চার্জশিটে নাম থাকছে পার্থ, অর্পিতা-র
ED on SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি । তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি।
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি (Enforcement Directorate)। তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। ইডির চার্জশিটে নাম থাকছে পার্থ, অর্পিতা (Partha Chatterjee , Arpita Mukherjee)-সহ কয়েকজনের।
তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট ইডি-র
ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা আজকেই চার্জশিট জমা করবে ইডি। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গত ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা, সোনা, সম্পত্তির দলিল, কোম্পানির নথি। অর্পিতাকেও গ্রেফতার করে ইডি। পাশাপাশি এসএসসি মামলায় পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুলেও হানা দেয় ইডি। জানা যায়, স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্যে আসে শান্তিনিকেতনে একাধিক বাড়ি, গেস্ট হাউজ। স্থানীয়দের কাছে এই বাড়িগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি নামে পরিচিত। এলাকাবাসীর দাবি, প্রায়শই এখানে দেখা যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সব মিলিয়ে তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় যাবতীয় তথ্য হাতে আসার পর চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি।
আরও পড়ুন, 'ভয় কীসের, তদন্ত করুক না, আমাদের বিরুদ্ধেও করুক', ইডি-সিবিআই নিয়ে বিস্ফোরক সুজন
'পার্থই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূলচক্রী', দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা-র
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা জড়িত থাকার কথা বরাবর অস্বীকার করে আসছেন তিনি। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় আমল দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরং পার্থই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূলচক্রী, বলে দাবি তাদের। সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ কিন্তু অন্য কথা বলছে। বরং তিনিই দুর্নীতিকাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড', তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এমনটাই মনে করছেন বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় তিন অভিযুক্ত-পার্থ, কল্যাণময়, এস পি সিন্হা। সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি কারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাতে পার্থর কী ভূমিকা ছিল, তা বিশদে জানতে চাওয়া হবে পার্থর কাছে, আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও পার্থর দাবি, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। কমিটি গঠনের ফাইলে সই করেছিলেন মাত্র। কিন্তু গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তিনি না জানলে, কারা জানত। এই সব প্রশ্ন উঠছেই।