(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sukanta Majumdar: ‘মানিক মুখ খুললে অনেক উইকেট পড়বে', সুকান্তর মুখে সেই ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’
Sukanta on Manik: শুভেন্দুর পর ফের সুকান্তর মুখে সেই ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। মানিক ভট্টাচার্য নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার ?
কলকাতা: শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পর ফের সুকান্তর মুখে সেই ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। বিজেপির রাজ্য সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।'
প্রসঙ্গত, পুজোর আগে, রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে রেখে সুকান্ত মজুমদার বলেন,'ডিসেম্বরেই সরকার পড়তে পারে। ' মূলত, তাঁর যুক্তি, ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারকাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী যোগ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির মামলায় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। জেল থেকে তেমন কেউ ছাড়া পাননি। অধিকাংশই এখনও জেলেই, বলে দাবি সুকান্ত-র। এহেন পরিস্থিতিতেই, 'জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও ' বিস্ফোরক দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই যদি জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার ? প্রশ্ন তুলেই , তিনি বলেন 'সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।'
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মানিক ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।' যারা টাকা দিয়েছে, তারা স্কুলে শিক্ষক হিসাবে পড়াচ্ছে এবং আমাদের রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যত নষ্ট করছে। যোগ্য প্রার্থীরা ৫৭৬ দিন ধরে ধর্না দিচ্ছে। এমনকী লক্ষ্মীপুজোর দিন কাঁদছে। আপনি কি মনে করেন, এটা শুধু একটা অপরাধ? ' মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে এই মন্তব্য করেন ইডি’র আইনজীবী। এরইসঙ্গে অত্যন্ত বিস্ফোরক দাবি করে তিনি বলেন, ' ইডি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল। তাতে দেখা যায় মানিক ভট্টাচার্য একটি চিঠি পেয়েছেন, যে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও লেখা হয়েছিল। সেই চিঠি অনুযায়ী, ৪৪ জনকে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়।'
আরও পড়ুন, 'রাজ্যে বিরাট চক্র কাজ করছে', চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যুতে বামেদের অভিযানের পর বিস্ফোরক মীনাক্ষী
আদালতে ইডি দাবি করেন, মেসার্স অ্যাকিউর কনসালটেন্সি সার্ভিসেসের মালিক মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে। এই কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে, এই টাকা বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাবদ নেওয়া হয়। কিন্তু, টাকা নেওয়ার পর কোনও কাজ হয়নি। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও পাওয়া গেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাইরের লোকেদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অপরিচিতদের সঙ্গেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে প্রচুর টাকা রয়েছে।