Supreme Court on Manik: 'জেলেই থাকতে হবে', সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিক ভট্টাচার্য-র
SC on Manik ED Arrest Issue: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মানিকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ধাক্কা মানিক ভট্টাচার্য-র (Manik Bhattacharya)। নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র (ED) গ্রেফতারির বিরুদ্ধে মানিকের মামলা পত্রপাঠ খারিজ করল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ। দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় জেলেই থাকতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। এর আগে শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, মানিকের রক্ষাকবচ শুধুমাত্র সিবিআই মামলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
টেট দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই (CBI)। তবে মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিবিআই, গতকালই জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের । ২৬৯ জন প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ। পর্ষদ সভাপতি পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যর অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশেও স্থগিতাদেশ। স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মানিক ভট্টাচার্যকে পুনর্বহালের কোনও নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।পাশাপাশি মানিক ভট্টাচার্যকে ইডি-র গ্রেফতারি মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। এ নিয়ে নিজেদের রায় স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর আমলেই নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে নেমেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও এরপরও মুখে কুলুপ ইডি হেফাজতে থাকা তৃণমূল বিধায়কের।ইডি আদালতে জানিয়েছিল, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না মানিক। তাঁকে যে প্রশ্ন করা হচ্ছে সেগুলিরও সদর্থক উত্তর পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নেরও উত্তর দেননি তিনি। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে প্রধানত দুটি প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন, 'মমতার ধর্নামঞ্চ, বিক্ষোভের কারণেই টাটা-রা সিঙ্গুর ছেড়েছিল', চাঞ্চল্যকর দাবি রবীন্দ্রনাথের
এক, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তা কতটা সত্যি ? দুই, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালেই কি এই ধরনের কোনও চক্রান্ত চলত ? দুটি প্রশ্নের উত্তরেই নীরব থেকেছেন মানিক। কিন্তু আপাতত মূল জিজ্ঞাস্য হল, ইডি-র প্রশ্নের উত্তরেও কি নীরব থাকছেন তিনি? দুটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছিল যা কিনা মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম 'কিংপিন' বলে দাবি করা হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে কত দিন মুখ না খুলে থাকা সম্ভব, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।