Kolkata News: পিলারে গাড়ির ধাক্কা মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা, দুর্ঘটনায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে দাবি এক ভাইয়ের
Tangra Update: এক জায়গা থেকে উদ্ধার তিন আহত। আরেক জায়গা থেকে উদ্ধার তিন মৃত। আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃতদেহের হদিশ।

কলকাতা: অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটা দুর্ঘটনায় তিনজনের আহত হওয়া, আর তার সূত্র ধরেই হদিশ মিলল ট্য়াংরায় তিনজনের রহস্য়মৃত্য়ুর। খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা নাকি, সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা? তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য।
এক জায়গা থেকে উদ্ধার তিন আহত। আরেক জায়গা থেকে উদ্ধার তিন মৃত। আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মৃতদেহের হদিশ। একই পরিবারের ছয় সদস্য, কারও হাতের শিরা কাটা, কেউ জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় রাত প্রায় সোয়া ৩টে। বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি গাড়ি মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে। গাড়ি থেকে ১ নাবালক সহ তিন জনকে উদ্ধার করে রুবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানতে পারে, আহত ৩ জনের মধ্য়ে, ২ জন, পেশায় চর্ম ব্যবসায়ী প্রসূন দে ও প্রণয় দে দুই ভাই। সঙ্গে ছিল তাঁদেরই এক জনের ছেলেকিন্তু তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হতভম্ব পুলিশ।তদন্তকারীদের চোখ কপালে। আরে, এতো কোনও নিছক পথদুর্ঘটনা নয়, ভয়ঙ্কর এক কাণ্ড।
কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার জানান, দুর্ঘটনায় আহত ১ ভাই দাবি করেন, তাঁরা পিলারে গাড়ির ধাক্কা মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আর, তাঁদের ট্যাংরার বাড়িতে পড়ে রয়েছে তিন জনের মৃতদেহ। ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তাঁর এবং তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী, পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে মেয়েও। খবর পেয়েই ট্যাংরার চিত্তনিবাস নামের এই চারতলা বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। দেখা যায় তিনটে ঘরে পড়ে রয়েছে ৩ জনের মৃতদেহ। বাড়িরই মেয়ে, প্রিয়া দে'র নিথর দেহ। মুখ দিয়ে গ্য়াঁজলা বেরোচ্ছে। অপর ২ ঘরে, ২ জা, রোমি দে ও সুদেষ্ণা দে'র মৃতদেহ। দু-জনের দেহেই রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, "২টো মৃতদেহে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আর একজন যে বাচ্চা মেয়ে আছে ওর সেরকম আঘাতের চিহ্ন নেই, কিন্তু ময়নাতদন্তে স্পষ্ট বোঝা যাবে কার কী রকম আঘাত রয়েছে। এটা আত্মহত্যা নাকি খুন করে দিয়েছে? কী হয়েছে তা ময়নাতদন্ত থেকে পরিষ্কার হবে।''
কিন্তু, সম্ভ্রান্ত পরিবারের এই মর্মান্তিক পরিণতি কেন? দুই মহিলা ও কিশোরী কি আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি তাঁদের খুন করা হয়েছে? একই পরিবারের ৬ জনের একসঙ্গে আত্মহত্যার দাবি কি সঠিক? দুই স্ত্রী ও এক মেয়ের মৃত্যুর পরই কী শিশুপুত্রকে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন দুই ভাই? বাইপাসের পিলারে ধাক্কা কি ইচ্ছাকৃত নাকি দুর্ঘটনা?তিনটি আলাদা ঘর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হলেও, পুলিশ সূত্রে খবর, ২ তলার একটি ঘরে মিলেছে রক্তের দাগ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার জানান, "ওঁরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতি অনুযায়ী, এঁরা (২ মহিলা ও এক কিশোরী) এখানে কিছু ঘুমের ওষুধ পায়েসের মধ্যে মিশিয়ে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তারপরে কাট ইনজুরি আছে হাতে। তিনজন হয়তো ওটাতে মারা গিয়েছেন, যেটা ওঁরা বলেছেন। ওঁদের ওটাই বক্তব্য, আর্থিক কিছু ক্ষতি হয়েছিল, ওর জন্য এরকম হয়েছে।''
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee:'চূড়ান্ত অব্যবস্থা... কেউ এই কথা বললে বিরোধিতা করতে পারব না,' মমতার মন্তব্যকে সমর্থন শঙ্করাচার্যের






















