Zero Shadow Day: আজই ছায়া চুরি যাওয়ার দিন
Zero Shadow Day: আজই ছায়া চুরি যাওয়ার দিন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার তা দৃশ্যমান হচ্ছে।
কলকাতা: আজই ছায়া চুরি যাওয়ার দিন ( Zero Shadow Day)। সকাল ১১.৩৪ মিনিটে মিলোয় ছায়া। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবার তা দৃশ্যমান হচ্ছে। আহ্নিক ও বার্ষিক গতির অক্ষ এবং সূর্যের অবস্থান। দুয়ের জেরেই আজ জিরো শ্যাডো ডে।
এই ছায়াশূন্য দিবসের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হল, ভৌগলিক অবস্থানের নিরিখে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দিনে ঠিক দুপুরবেলা সূর্য একেবারে মাথার ওপর আসে কয়েক মুহূর্তের জন্য।এর ফলে কোনও বস্তু বা মানুষের ছায়া পড়লেও, তা দেখা যায় না। কারণ সূর্যের অবস্থানের নিরিখে মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ছায়া উল্লম্ব ভাবে তাঁরই পায়ে নিচে হারিয়ে যায়।
পৃথিবী যে অক্ষের ওপর ভর করে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে ও যে অক্ষের উপর নিজের চারদিকে ২৪ ঘণ্টায় পাক খাচ্ছে, এই দুটি অক্ষ পরস্পরের থেকে সাড়ে ২৩ ডিগ্রি হেলে রয়েছে।২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে মকরক্রান্তি রেখা থেকে আস্তে আস্তে প্রতিদিন সূর্য ঠিক মাথার ওপর আসে দুপুরবেলা। একে সূর্যের উত্তরায়ণ বলে।২০ বা ২১ জুন থেকে শুরু হয় সূর্যের দক্ষিণায়ন। সেইদিন থেকে কর্কটক্রান্তি রেখার দক্ষিণ দিকে ধীরে ধীরে সূর্য একেকটি জায়গায় দুপুরবেলা মাথার উপর আসে কিছুক্ষণের জন্য। ওই দুই দিনকেই ছায়াশূন্য দিবস বলে।
প্রসঙ্গত, আজ জিরো শ্যাডো ডে-এর পাশাপাশিই রাজ্যে তাপের দাপট অব্যহত। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগুন গরমে আরও কয়েকদিন পুড়তে চলেছে বাংলা। কলকাতায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে পারদ। আরও ৫ দিন তাপপ্রবাহ চলবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ১১টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। একদিকে লু বইবে, আরেক দিকে প্যাচপ্যাচে গরমে বাড়বে অস্বস্তি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বাড়বে। ফলে দিনের পর রাতেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। দার্জিলিং জেলার সমতল এলাকা ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। কলকাতায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। ঝাড়খণ্ড ও সিকিমেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
অপরদিকে, জুন মানেই বর্ষার আগমনের মাস। তবে জুনের শুরুতে গরমে নাজেহাল হবে দক্ষিণবঙ্গবাসী। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকায় চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া। দরদরিয়ে ঘাম। খুব জরুরি কাজ থাকলে রাস্তায় বের হচ্ছেন লোকজন, কাপড়ে মুখ ঢেকে, ছাতা হাতে।