Kolkata News: তপসিয়ার বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার খোদ যুব TMC-র ওয়ার্ড সভাপতি !
Topsia Bomb Blast Arrest : তপসিয়ার বোমাবাজির ঘটনায় শাসকদলের ২ নেতা-সহ মোট ৫ জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ

কলকাতা: তপসিয়ার দারাপাড়ায় বোমাবাজির ঘটনায় এবার গ্রেফতার যুব তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। যুব তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি তাবরেজ আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাবরেজের বাবা যুব তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতিকে।
আরও পড়ুন, দুর্যোগের মাঝেই সুখবর, অবশেষে হলুদ সতর্কতা সরল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের এই ৯ জেলা থেকে !
শাসকদলের ২ নেতা-সহ মোট ৫ জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ধারালো অস্ত্র। এ নিয়ে তপসিয়ায় বোমাবাজির ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৪। 'দল এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না, ব্যবস্থা নেওয়া হবে'। গ্রেফতারের পর অস্বস্তি ঢাকতে সাফাই উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির।
তপসিয়ায় ২ গোষ্ঠী সংঘর্ষে ধুন্ধুমারকাণ্ড। বোমাবাজির অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। আহত হলেন একাধিক। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্য়ে রয়েছে এলাকা দখলের লড়াই। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল তপসিয়ায়। ছোড়া হল পাথর,এমনকী এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ পর্যন্ত করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, গোটা ঘটনার নেপথ্য়ে রয়েছে এলাকা দখলের লড়াই।
কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড। তপসিয়ার দারাপাড়া এলাকা।
রবিবার সন্ধেয় এখানেই ২ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। অভিযোগ, বোমার আঘাতে আহত হন ৩ জন।আহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলাও।কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড আহত বাসিন্দা জয়নাব খাতুন বলেন, গেট বন্ধ করতে বেরিয়েছিলাম, হঠাৎ চোখের সামনে পড়ল, পুরো অন্ধকার হয়ে গেল। কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম না। ঘরের ভিতরে যেই এসেছি, চারিদিক রক্তাক্ত হয়ে গেল।
প্রশ্ন: বোমা থেকে হয়েছে ?
আহত বাসিন্দা: হ্যাঁ।
প্রশ্ন : যারা করেছে তারা সবাই এলাকার?
আহত বাসিন্দা: হ্যাঁ।
প্রশ্ন : কোন পার্টি করে?
আহত বাসিন্দা : সব টিএমসি।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, এই তাণ্ডবে জড়িতদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলেন, ঝামেলা কী নিয়ে হয়েছে সেটা আমরা কেউ জানি না। পার্টির লোকের ছেলে।তৃণমূল। স্থানীয়রা যখন তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছে, তখন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আবার বল ঠেলেছেন পুলিশের কোর্টে।
কলকাতা পুরসভা ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কাউন্সিলর জলি বোস বলেন, দারাপাড়া এমনই একটা অঞ্চল, ওখানে সবসময় আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ওই এলাকায় আমি যেতে পারি না, আমার একটা ফোটো লাগাতে পারবে না কেউ। আমি থানায় অনেকবার জানিয়েছি। বড়বাবুও সব জানেন। কারা করে, কারা করেছে।






















