BJP News: 'অব্যাহতি নিলাম', নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সব পদ 'ছাড়ছেন' বিজেপি বিধায়ক ! বঙ্গে ফের গেরুয়া শিবিরে 'দ্বন্দ্ব'
Manoj Kumar Oraon : এনিয়ে জানতে মনোজ ওঁরাওকে ফোন করা হলেও তা সুইচ অফ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

দীপক ঘোষ, কলকাতা : ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে ফের বঙ্গ বিজেপিতে 'দ্বন্দ্ব'! নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে সব পদ 'ছাড়ছেন' বিজেপি বিধায়ক! 'শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ বাংলায় পরিবর্তন আনতে জান প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন। কয়েকজন নেতৃত্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।' নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই সরব হলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক! নেতৃত্বের একাংশকে অভিযুক্ত করে দলীয় সব পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি ! সোশাল মিডিয়া পোস্টে মনোজ ওঁরাও লিখলেন, 'একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে বিজেপিতে থাকব।' এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, নাম না করে কাদের দিকে নিশানা করলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক ?
বিস্তারিত...
দলে অভ্যন্তরীণ দড়ি টানাটানি বা কোন্দলের কারণেই এটা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা অবশ্য মনোজ ওঁরাও বলেননি। তাঁর বক্তব্য, দলীয় যেসব পদ ছিল সেগুলি থেকে তিনি অব্যাহতি নিচ্ছেন। অর্থাৎ, দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ, নেতৃত্বের প্রশ্নে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভ তিনি প্রকাশ্যে জানালেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, হয়ত এর আগে নিজের বক্তব্য তিনি দলে জানিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায়, নিজের ক্ষোভের কথা সোশাল মিডিয়ায় জানালেন বিজেপি বিধায়ক। তবে দলীয় নেতৃত্ব বলছেন, মনোজ ওঁরাওয়ের যদি কোনও ক্ষোভ থেকে থাকে, তাহলে নেতৃত্ব অবশ্যই তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন। কথা বলে তাঁর ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করা হবে।
এনিয়ে জানতে মনোজ ওঁরাওকে ফোন করা হলেও তা সুইচ অফ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপি বিধায়ক ?
মনোজ কুমার ওঁরাও লিখলেন, "শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ বাংলায় পরিবর্তন আনতে জান প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছেন। কয়েকজন নেতৃত্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু কয়েকজন সাধারণ কর্মীর ভাবাবেগে আঘাত করে ও তাঁদের পছন্দের বিরুদ্ধে চাটুকারিকেই প্রধান্য দিচ্ছেন। আলিপুরদুয়ার জেলায় নির্বাচনে দলের রেজাল্ট খারাপ হলে এর দায় তাঁদেরই নিতে হবে। এই পরিবেশে দলের কোনও দায়িত্বে থাকতে পারছি না। তাই সব দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম।
একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে বিজেপিতে থাকব।"
এর আগে দলের বিরুদ্ধেই সরব হন গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্র নাথ রায়। '৪১ নম্বর গঙ্গারামপুর বিধানসভায় মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হল। নির্বাচিত বিধায়কদের দলে কোনও মূল্য নেই। করদহ, ভিকাহারের মণ্ডল সভাপতিকে চিনিও না, জানিও না। দল জানে আমি শুধু বিধায়ক নই, দলের একজন সংগঠক। দলের অত্যন্ত পুরনো সংগঠকদের নাম দিয়েছিলাম মণ্ডল সভাপতি হিসাবে। দুর্ভাগ্য ডিআরও ও জেলা সভাপতি যাঁরা আমাকে গত বিধানসভায় হারানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের কথায় সভাপতি নির্বাচন হয়েছে।' দলের বিরুদ্ধেই সরব হন গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
