Maheshtala Chaos: দোকান বসানো নিয়ে মহেশতলায় ধুন্ধুমার, নাগাড়ে ইট-পাথরবৃষ্টি, রক্তাক্ত পুলিশ
Maheshtala Incident: ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলা। দোকান বসানো নিয়েই শুরু উত্তেজনা।

আবির দত্ত, মহেশতলা : ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলা। গাড়ি ভাঙচুর, বাইকে আগুন, পুলিশও আক্রান্ত। দোকান বসানো ঘিরে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। রণক্ষেত্র মহেশতলা, একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর, বাড়িতেও হামলা! রবীন্দ্রনগর থানার সামনেই পুলিশের গাড়িতে হামলা। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশের বড় কর্তাদের অনেকেই পৌঁছেছেন এলাকায়। পুলিশের তরফ থেকে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। বেশ অনেকটা এলাকা জুড়ে অবরুদ্ধ রয়েছে রাস্তাঘাট। স্থানীয়দের পক্ষেও বাড়ির বাইরে বেরোনো এই মুহূর্তে নিরাপদ নয়।
অগ্নিগর্ভ মহেশতলা। দফায় দফায় উত্তেজনা। থানার সামনে বাইকে আগুন। আক্রান্ত পুলিশ। রণক্ষেত্র পরিস্থিত। নাগাড়ে পাথবৃষ্টি, ভাঙচুর। রাস্তার উপর দাউদাউ করে জ্বলছে বাইক। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে পুলিশের বাইকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ। মহিলা কনস্টেবলের মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে বলে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে পুলিশ। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত পুলিশকর্মী। পুলিশ বলছে, 'মরণবাঁচন অবস্থা। প্রচুর লোক। লড়াই করে পারছি না।' এলাকা ফাঁকা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ঘণ্টাখানেক ধরে চলছে এই উত্তেজনা। পুলিশের সামনেই চলে মুহূর্মুহু ইটবৃষ্টি। কার্যত অসহায় অবস্থায় ছিল পুলিশ। কেন শুরুতেই এই উত্তেজনা থামিয়ে দেওয়া গেল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এলাকার অনেক বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে ইট, পাথর ছুড়ে।
এলাকায় নেমেছে র্যাফ। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় আসছে অতিরিক্ত ফোর্স। কিন্তু উন্মত্ত জনতার একাংশ পাথর ছোড়া থামায়নি। পুলিশ এবং র্যাফকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটালেও কোনও অবস্থাতেই দুষ্কৃতীরা পাথর ছড়া থামাচ্ছে না। ছাদের উপর থেকেও চলছে ইট, পাথর ছোড়া। পুলিশের তরফ থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময়েই পাথর ছুড়ে আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে বড় বড় সাইজের পাথর। দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছে। বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। প্রথমে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় সাময়িক ভাবে পিছু হটতে কার্যত বাধ্য হয় পুলিশ বাহিনী। পরে অতিরিক্ত ফোর্স আসায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অগ্রসর হয় পুলিশ। কিন্তু তখনও তাদের উপর নাগাড়ে ইটবৃষ্টি হতে থাকে। পাথর ছোড়া হয়।






















