Maheshtala: জলের পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ২ নেতার সংঘাত, বোমাবাজি
তৃণমূল কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুরকর্মীরা পাইপ বসানোর কাজ করার সময় দলবল নিয়ে চড়াও হন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি।
মহেশতলা: জলের পাইপ বসানোকে কেন্দ্র করে মহেশতলায় (Maheshtala) তৃণমূলের (TMC) দুই নেতার সংঘাত। তার জেরে বোমাবাজি। গুলি চলার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor)। মহেশতলার পুরসভার উদ্যোগে ১ নম্বর ওয়ার্ডে বসানো হচ্ছিল জলের পাইপ। তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor) অভিযোগ, পুরকর্মীরা পাইপ বসানোর কাজ করার সময় দলবল নিয়ে চড়াও হন তৃণমূলের (TMC) ওয়ার্ড সভাপতি।
একমাস পর পাইপ বসানোর কাজ তিনি করবেন বলে দাবি করেন। গন্ডগোলের জেরে কাজ করে ফিরে যান পুরসভার কর্মীরা। অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councillor)। ওই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে যাওয়ায় কিছুক্ষণের জন্য কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল, তাই নিয়ে গন্ডগোল, দাবি তৃণমূল ওয়ার্ড সভাপতির।
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ক্ষোভ: দলবদল করা ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূলের টিকিট পাননি সিংহভাগই। আর এই নিয়ে নবাবের শহর মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ক্ষোভ চরম আকার নিল। জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান। দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা সভানেত্রী।
মুর্শিদাবাদ পুরসভার তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, "২০১১ সাল থেকে জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে আমার একটা বিরোধ আছে, এই বিরোধটাকে হয়তো এভাবে কার্যকর করছেন। তাই উনি সভাপতি হওয়ার পর আমার প্রশাসকের পদ গিয়েছে।" বিপ্লব চক্রবর্তী। তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান। এবার তাঁর নাম নেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। আর এই নিয়ে নবাবের জেলায় প্রকাশ্যে চলে এল শাসক কোন্দল।
বিধানসভায় ঝড়ল রক্ত: উল্লেখ্য, এদিন রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম বাঁধে। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি। একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। নাকের হাড় ভাঙল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম-এ। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। এদিন অধিবেশনের শুরুতেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চলছে, অথচ রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করলেন মুখ্যমন্ত্রী?
সাসপেন্ড বিজেপি বিধায়ক: সংসদীয় ব্যবস্থায় এটা করা যায় না, অধ্যক্ষের সামনেই সাদা পোশাকের পুলিশ এনে হামলা চালানো হয়, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতিদিন আপনারা শুধু চিত্কার আর ওয়াকআউট করছেন, মন্তব্য অধ্যক্ষের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: North 24 Pargana: দেগঙ্গায় আমবাগানে অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়