Malda News: খেলতে খেলতে হাসপাতালের ৬ তলার রেলিং থেকে পড়ে মৃত্যু শিশুর
অসুস্থ বলে, ছোট ছেলেকে সবসময় নজরে রাখতেন বাবা-মা! শুক্রবার ছেলেকে সঙ্গে করে, নিজের দোকানে নিয়ে এসেছিলেন বাবা! কিন্তু, তারপরও হাসপাতালেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
করুণাময় সিংহ, মালদা: খেলতে গিয়ে চলে গেল প্রাণ! মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College Hospital), ৬ তলার সিড়ির রেলিং থেকে পড়ে মৃত্যু হল ৮ বছরের বালকের। হাসপাতালের মধ্যে কীভাবে ঘটল এরকম ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।
অসুস্থ বলে, ছোট ছেলেকে সবসময় নজরে রাখতেন বাবা-মা! শুক্রবার ছেলেকে সঙ্গে করে, নিজের দোকানে নিয়ে এসেছিলেন বাবা! কিন্তু, তারপরও হাসপাতালেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ছ’তলা থেকে আছড়ে পড়ে, মৃত্যু হল আট বছরের বালকের।
মৃত বালকের নাম হর্ষিত সিং। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরেই হর্ষিতের বাবার খাবারের দোকান। সেখানে বাবার সঙ্গেই ছিল সে। কিন্তু হঠাৎ সবার নজর এড়িয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়ে সে। ছ’তলায় উঠে, সিঁড়ির এই রেলিং ধরে খেলা করছিল সে।
তখনই ঘটে বিপত্তি। ৬ তলা থেকে সোজা তিন তলায় পড়ে যায় বালকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। মৃত বালকের বাবা বলবীর সিংহের কথায়, ছেলে অসুস্থ বলে ওকে চোখের সামনেই রাখতাম। আজ দোকানের সামনে থেকে খোলার সময় আমার ছেলে নজর এ ড়িয়ে আউটডোরের ছয় তলা বিল্ডিং এ উঠে যায়। এরপর সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ছেলের।
ছোট্ট একটি ছেলেকে, এ রকম বিপজ্জনকভাবে খেলতে দেখেও, কেউ নিষেধ করল না কেন? এই প্রসঙ্গে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা কম ছিল। কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি পুরুলিয়ার (Purulia) বেলগুমা পুলিশ লাইনে (Belguma Police Line) স্পেশাল হোমগার্ডের (Special Home Guard)) রহস্যমৃত্যু (Death) ঘটে। পারিবারিক বিবাদের জেরে ছেলেকে (Son) মেরে আত্মঘাতী স্পেশাল হোমগার্ড, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের (Police)। কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় আত্মসমর্পণকারী প্রাক্তন মাওবাদী হেমন্ত হেমব্রম ও তাঁর ৬ বছরের শিশুপুত্রের রক্তাক্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, হেমন্ত হেমব্রমের বাড়ি আড়ষায়। ২০১২ সালে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর, স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি পান হেমন্ত। স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বেলগুমা পুলিশ লাইনে। কীভাবে মৃত্যু, খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।