Malda News: ঘুষ নিয়ে বালি, মাটি মাফিয়াকে মদত দিচ্ছেন আইসি! বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
নদীবাঁধের সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক। সেইসঙ্গে তিনি, রতুয়ার IC সুবীর কর্মকারের অপসারণ দাবি করেছেন।
করুণাময় সিংহ, রতুয়া: ঘুষ নিয়ে বালি, মাটি মাফিয়াকে মদত দিচ্ছেন রতুয়া থানার আইসি। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মালদার পুলিশ সুপারের দাবি, পুলিশ কোনও অনৈতিক কাজে যুক্ত নয়।
বালি, মাটি মাফিয়া প্রসঙ্গ তুলে বিস্ফোরক বিধায়ক: “বালি, মাটি মাফিয়ার সঙ্গে আঁতাঁত রয়েছে রতুয়া থানার IC’র। টাকার বিনিময়ে বেআইনি কারবারে মদত দিচ্ছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।’’ বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। খোদ শাসক দলের একজন জনপ্রতিনিধির এমন দাবি ঘিরেই সরগরম মালদার রাজনৈতিক মহল। বুধবার রতুয়ার সূর্যাপুরে ফুলহার নদীবাঁধ সংস্কারের সূচনা অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়-সহ সেচ দফতরের আধিকারিকরা।সেখানেই নদীবাঁধের সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক। সেইসঙ্গে তিনি, রতুয়ার IC সুবীর কর্মকারের অপসারণ দাবি করেছেন। ADG, DIG, SP’কে জানিয়ে কাজ না হলে, মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিধায়ক।
নদীবাঁধের সমস্যা নিয়ে সরব: তবে শুধু তৃণমূল বিধায়কই নন। নদীবাঁধের সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন সেচ প্রতিমন্ত্রীও। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দলেরই একাংশের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সেচ বাঁধের নদীর পাড় থেকে মাটি তুলছে। কেউ প্রধানের ভাই, কেউ সভাপতির মামা, কেউ সভাধিপতির ভাইপো বলে ভাটা করবে, মাটি তুলে নিয়ে চলে যাবে, তা কিন্তু আর আমরা বরদাস্ত করব না। বাঁধের মাটিতে কেউ যদি হাত দেয়, এবার আমরা কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা নেব।’’
এবিষয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, সারা জেলাজুড়ে সমস্ত নদী থেকে বালি কেটে বিক্রি হচ্ছে, তার সাথে জড়িত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের প্রশাসনের একাংশ, এটা আমরা আগে থেকেই বলছি, এখন তৃণমূলের বিধায়ক এই অভিযোগ করছেন।
এদিকে যে IC’র বিরুদ্ধে মাফিয়ার কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করছেন তৃণমূল বিধায়ক, তিনি বলেছেন, "উনি বর্ষীয়ান ব্যক্তি। উনি কী বলেছেন তা নিয়ে কিছু বলব না, উনি বলতেই পারেন। আমি ডিসিপ্লিনড অফিসার। এই বিষয়ে যা বলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা বলবেন।'' মালদার পুলিশ সুপারের দাবি, পুলিশ কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিধায়ক বলেছেন ঠিক আছে, তবে ওনার অভিযোগের কোনও ভিত্তি খুঁজে পাইনি।
আরও পড়ুন: Darjeeling News: বাড়ির নামে টাকা লোপাট! অভিযোগে বিদ্ধ গুরুং বোর্ড