Malda News:শ্রমিকের বাড়িতে ৩৭ লক্ষ, মালদায় টাকা উদ্ধারে যোগ রয়েছে মাদক কারবারের: এসটিএফ
STF Recovers Money: মালদায় ফের টাকার পাহাড়! শ্রমিকের বাড়িতেই ৩৭ লক্ষ! কালিয়াচকে ভিনরাজ্যের শ্রমিকের বাড়িতে ৩৭ লক্ষ টাকা! কালিয়াচকের গঙ্গানারায়ণপুরে এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার টাকা।
করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় (Malda) ফের টাকার পাহাড় (money)! শ্রমিকের (migrant laborer) বাড়িতেই ৩৭ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা! কালিয়াচকে (kaliachak) ভিনরাজ্যের শ্রমিকের বাড়িতে ৩৭ লক্ষ টাকা ৯৯ হাজার টাকা! কালিয়াচকের গঙ্গানারায়ণপুরে এসটিএফের অভিযানে উদ্ধার টাকা। টাকার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে মাদক কারবারিদের (Drug peddlers), দাবি এসটিএফের (STF)।
কী ভাবে উদ্ধার?
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রয়্যাল শেখ নাম এক যুবককে মাদক -সহ গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এসটিএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া টাকা মাদক কারবারি রয়েল শেখেরই। রয়্যাল শেখের স্ত্রী ফতেমা বিবিকে অভিযুক্ত করে মামলা শুরু পুলিশের। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে টাকা ভিন রাজ্যের শ্রমিকের বাড়িতে রাখা ছিল, এমনটাই দাবি এসটিএফের। উল্লেখ্য, এর আগে গাজোলে এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে এভাবেই টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়! সে বার ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল! সেই টাকার সঙ্গেও মাদক কারবারিদের যোগাযোগ ছিল, দাবি সিআইডির।
কী জানা গেল?
গোপন সূত্রে এই টাকার খবর পেয়েছিল এসটিএফ। তার পরই অভিযান চালায় তারা। এসটিএফ সূত্রে দাবি, ওই টাকা রয়্যাল শেখের। পুলিশের থেকে লুকোতেই তা ভিন রাজ্যের শ্রমিকের বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সম্ভবত ফতেমা বিবি-ই এই টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন, জানতে পেরেছে এসটিএফ। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে মালদার গাজোলে মাছ ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবারের অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডি ওই সময় ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিল। নির্দিষ্ট করে বললে মেলে ১ কোটি ৩৯ লক্ষের বেশি টাকা। অভিযুক্ত মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়। এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে এই বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তৈরি হয়। স্রেফ মাছের ব্যবসা নাকি আড়ালে মাদকের কারবার চালাতেন জয়প্রকাশ? তৈরি হয় নানা জল্পনা। দিনভর টানা উত্তেজনা শেষে সন্ধের দিকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। উদ্ধার হওয়া টাকা ও ধৃতকে গাজোল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গাজোলে সিআইডির দফতরে নিয়ে যাওয়ার কথা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের ব্যবসা করেই এই বিপুল অঙ্কের টাকা জমিয়েছিলেন তিনি। জয়প্রকাশের বাড়িতে যে বেআইনি ভাবে বিশাল অর্থ রাখা রয়েছে, গোপন সূত্র মারফৎ সেই সন্ধান পেয়েই তল্লাশি চালায় সিআইডি। ৩ ঘণ্টা ধরে চলে টাকা গোনার কাজ। কী ভাবে ওই টাকা এল, কোথা থেকে এল, আর কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত--সবটা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:দক্ষিণবঙ্গের দুঃখ ছিল, পাহাড় নেই। তৃণমূল নেতার বাড়ি গেল টাকার পাহাড় দেখা যাবে: সেলিম