Mamata Banerjee: সরকারি হাসপাতালে একমাসে মৃত্যু ১২ শিশু, দু'জনের অ্যাডিনো, জানাল রাজ্য
Adenoviruses: ১২ শিশুর মৃত্য়ু, অ্যাডিনো ছিল মাত্র ২ শিশুর, বললেন মমতা
কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাসকে (Adenoviruses) ঘিরে উদ্বেগ গোটা রাজ্যে। সেই আবহে সাংবাদিক বৈঠক করে আশ্বাসবাণী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাঁর বক্তব্য, "১২টি কেসের মধ্যে মাত্র দুই ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসের হদিশ। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ৫ হাজার বেড তৈরি আছে। চিকিৎসার জন্য ৬০০ চিকিৎসক রেডি। এটা ঋতুভিত্তিক সংক্রমণ, যার সংখ্যা ক্রমে কমছে।
১২টি কেসের মধ্যে মাত্র দুই ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসের হদিশ, জানাল রাজ্য
কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে শিশুমৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই আবহে বুধবার রাতে রাজ্য সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। তাতে জানানো হয়, গত এক মাসে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে অ্য়াডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই ১২ শিশুর মধ্যে আট জনের কো মর্বিডিটি ছিল।
তার পরই বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি জানান, ১২টির মধ্যে দুই ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসের হদিশ মিলেছে। অর্থাৎ এ দিন সরকারি হাসপাতালের ওই পরিসংখ্যানই মমতা তুলে ধরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ১২ শিশুর মধ্যে মাত্র দুই শিশু অ্যাডিনো পজিটিভ ছিল বলে জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জোট হবে মানুষের সঙ্গে, '২৪-এ কারও হাত ধরবে না তৃণমূল, জানিয়ে দিলেন মমতা
এ দিন রাজ্য জানায়, এদিক ওদিক নানা খবর দেখে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজ্যে ৫ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক রয়েছেন ৬০০। অ্যাডিনো ঋতুভিত্তিক একটি সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা
এ দিকে, অ্যাডিনো-উদ্বেগের মধ্যেই বি সি রায় শিশু হাসপাতালে বেড না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, আইসিইউ বেড খালি না থাকায়, বৃহস্পতিবার সকালে রাজারহাট থেকে আসা তিন মাসের শিশুকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। আবার প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও রক্ত জোগাড় করা যায়নি বলে অভিযোগ করে বনগাঁর একটি পরিবার। পরিবারের দাবি, ৮ দিনের শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত, রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ, গতকাল রাত সাড়ে ১১টা থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ক ঘুরেও রক্ত মেলেনি। রক্ত জোগাড় করতে না পেরে অসুস্থ শিশুকে ফের বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।