Mamata Banerjee : ভার্চুয়ালি প্রায় ৮০০ পুজোর উদ্বোধন মমতার, 'হিন্দু সমাজের লজ্জা' কটাক্ষ শুভেন্দুর
Mamata Banerjee Puja Inauguration : মহালয়ার আগেই কী করে পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গেল? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষত ছেড়ে কথা বলছেন না বিরোধীরা।
আশাবুল হোসেন, বিটন চক্রবর্তী, অনির্বাণ বাগচি, কলকাতা : মহালয়ার ( Mahalaya 2023 ) ২ দিন আগেই শারদোৎসবের সূচনা করতে শুরু করলেন মুখ্য়মন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) । পায়ের চোটের জেরে কালীঘাটের ( Kalighat ) বাড়ি থেকেই! মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠে বাঙালির ঘুম ভাঙল না! অথচ তার আগেই কী করে পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গেল? এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিশেষত ছেড়ে কথা বলছেন না বিরোধীরা।
মহালয়ার আগেই মুখ্য়মন্ত্রীর পুজোর উদ্বোধন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রায় যাকে বলে কাদা ছো়ড়া। এই নিয়ে শাণিত আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী( Suvendu Adhikari )। রামায়ণ অনুযায়ী, ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র আশ্বিন মাসে দুর্গাপূজা করেছিলেন। সেই থেকেই শরতে শুরু হয় পুজো । যাকে বলে অকালবোধন। পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে সারা ভারতে শুরু হয় দেবী বন্দনার ৯ রাত্রি - নবরাত্রি। কিন্তু তার আগে মায়ের পুজো সংক্রান্ত কোনও কাজ হয় না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্বোধন করে এদিন বলেন, 'ধর্ম যার যার নিজের। কিন্তু আমরা বলি, উৎসবটা সবার।
আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্য়বাদ জানাচ্ছি। শুভনন্দন জানাচ্ছি।'
আর মমতার এই তড়িঘড়ি পুজো উদ্বোধন নিয়ে শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'আজকে উদ্বোধন করবেন কেন? পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ হয় না। তিনি এটাকে কালচারাল প্রোগ্রামে পরিণত করছেন। পুজো করার দরকার নেই। আরতি, পুষ্পাঞ্জলি, পঞ্জিকা, শাস্ত্র এসব মানার দরকার নেই। হিন্দু সমাজের লজ্জা লজ্জা লজ্জা...'
এদিন শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি শ্রীভূমির সমস্ত দর্শক,.. সবাইকে অনেক ধন্য়বাদ জানাচ্ছি। এমনিতে ঠিক আছি। পায়ে চোট আছে। একটা ইনফেকশন হয়ে গেছে। হাঁটলে আবার বাড়বে। ডাক্তাদের মানা। ফিজিকালি না থাকলেও মানসিকভাবে আছি। অনেক ধন্য়বাদ। শুভনন্দন।'
আবার উত্তর কলকাতার প্রসিদ্ধ পুজো হাতিবাগান সর্বজনীনের প্রতিমা উদ্বোধন করে তিনি বলেন, 'অতীন.. ঝুমা সবাই আছে। বাজলো তোমার আলোর বেণু .... তোমাের অনেক অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাই। ভলান্টিয়ার্সদের ড্রেস আমার পছন্দ হয়েছে।'
প্রতিবছরই কলকাতা ও জেলার বহু পুজোর উদ্বোধন হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তবে এই বছরটা অন্যরকম। ঘর থেকে বের হচে পারছেন না তিনি। অভিষেকের রাজভবন ধর্না কর্মসূচিতেও তিনি যাননি। পায়ের চোট নিয়ে আপাতত বাড়িতেই বিশ্রামে। এবার মণ্ডপে গিয়ে আঁকতে পারবেন না চোখ। তবে ভার্চুয়ালি এভাবে যে পিতৃপক্ষেই পুজোর সূচনা করে দিলেন তিনি , তা নিয়ে রাজনৈতির আকচাআকচি বাড়ছে।