Mamata Banerjee: এমন করলেই বরখাস্ত সরকারি কর্মীরা! কী হুঁশিয়ারি মমতার?
West Bengal Government: প্রয়োজনে শনি-রবিবারও আসতে হবে অফিস, যখন-তখন ছুটি নেওয়াও যাবে না
সুমন ঘড়াই, কলকাতা: প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কাজ করার বার্তা দিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। কাজ না করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিলেন।
২০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। তারপরেই এই বৈঠক ডেকেছেন তিনি। বুধবার বিকেলের এই বৈঠকে সব দফতরের সচিব এবং জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন এসপি-রাও।
সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারি কর্মীরা ঠিকঠাক কাজ না করলে বরখাস্ত করা হতে পারে। সরকারি কর্মীদের মন দিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রয়োজনে শনি ও রবিবার দফতরে আসতে হতে পারে। এমনকী যখন তখন ছুটি নেওয়া চলবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, জনসংযোগ কর্মসূচি শুরুর আগে জেলাশাসক ও বিভিন্ন দফতরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে এমনই কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেছেন, 'আমি খুব কড়া। আমার কাছে খবর আসছে অনেকেই কাজ নিয়ে অসহযোগিতা করছেন। এমন করা যাবে না। ঠিকমতো কাজ না করলে সার্ভিস রুল ৫৬ অনুয়ায়ী টার্মিনেট করা হবে।'
সরকারি পরিষেবায় ঢিলেমির বিরুদ্ধে বরাবরাই কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি পরিষেবা যাতে সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তা নিয়ে প্রথম থেকেই একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকারি পরিষেবা বা সরকারি দফতরের কোনও কাজ যাতে হয়ে যায় তার উপর জোর দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার একাধিক সময়ে একাধিক ধরনের প্রকল্প শুরু করেছে। সেই প্রকল্পগুলি যাতে সময়ের মধ্যে প্রাপকরা পেয়ে যায় তা নিয়েও বারবার পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনেকসময় প্রশাসনিক সভা থেকে বা সরকারি প্রকল্প বিলির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ঠিকমতো পরিষেবা দিতে বলতে দেখা গিয়েছে। এবার ফের মুখ খুললেন তিনি। এতদিন পর্যন্ত যে কোনও নির্বাচনে তৃণমূলের প্রচারের মূল হাতিয়ার থেকেছে সরকারি পরিষেবার তালিকা, সামনেই লোকসভা ভোট, সেখানেও উন্নয়নের খতিয়ান ও প্রকল্পের তালিকাই প্রচারের হাতিয়ার হতে পারে। ফলে তার আগে যতটা সম্ভব দ্রুত প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দ্রুত কাজের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন সরকারি কর্মীদের একটি বড় অংশ বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের একটি অংশের বিরোধ এখন তুঙ্গে। এই মন্তব্যের পরে কি বিরোধ আরও বাড়বে?