Meenakshi Mukherjee: দুপুরে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে, সন্ধেতে ছাড় পেয়েই নতুন লড়াইয়ের ডাক মীনাক্ষীর
Minakshi Mukherjee: আজ DYFI-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বাম কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে করুণাময়ীতে আসেন। পুলিশ কর্মীরা বাধা দিলে তাঁরা সেখানেই বসে পড়েন।
কলকাতা: 'আগামীকাল সাড়ে তিনটের সময়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সাধারণ মানষের কাছে আমাদের আবেদন, আসুন এর প্রতিবাদে আরও একবার পায়ে পা মেলাই'। শুক্রবার সন্ধেতে ছাড় পেয়েই নতুন লড়াইয়ের ডাক দিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Meenakshi Mukherjee)। এ দিন দুপুরে করুণাময়ী থেকে টেনে হিঁচড়ে মীনাক্ষীকে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। সন্ধেতে ছাড়া পান তিনি। নিউটাউন থানা থেকে ছাড়া পেয়ে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আজকে গোটা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। এবার এই প্রতিবাদ সমস্ত জায়গায় হবে এবং আগুন জ্বলবে'।
প্রতিবাদে উত্তাল
শুক্রবার SFI ও DYFI-এর কর্মসূচি ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সল্টলেকের করুণাময়ী। আজ DYFI-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বাম কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে করুণাময়ীতে আসেন। পুলিশ কর্মীরা বাধা দিলে তাঁরা সেখানেই বসে পড়েন। এরপরই পুলিশ জোর করে বাম যুব কর্মীদের বাসে তুললে গেলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি। মীনাক্ষী দাবি তোলেন, কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি আছে, পুলিশ তাঁদের জানাক। তাঁরা তার বাইরে কর্মসূচি করবেন। কয়েকজনকে টেনে, হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষপর্যন্ত মীনাক্ষীকেও টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। আর এরপর ছাড় পেয়েই নতুন লড়াইয়ের ডাক দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
প্রতিবাদ কংগ্রেস-বিজেপিরও
উল্লেখ্য, মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামল কংগ্রেস-বিজেপিও। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। পাঁজাকোলা করে বিজেপি কর্মীদের তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। অন্যদিকে, বিধানভবন থেকে মেয়ো রেড পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল করে কংগ্রেস।
আর এই আন্দোলনই বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এভাবে তুলে দিল পুলিশ। আর এর প্রতিবাদেই শুক্রবার প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল জায়গায় জায়গায়। ৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন। খালি পেটে...নির্জলা....স্লোগানে-গানে প্রতিবাদ। আর এই আন্দোলনই বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে এভাবে তুলে দিল পুলিশ। আর এর প্রতিবাদেই শুক্রবার প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ল জায়গায় জায়গা। সিপিএমের মতোই রাস্তায় নামল বিজেপি এবং কংগ্রেসও। ধর্মতলায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ, বিজেপির রাজ্য সদর দফতরের সামনে থেকে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল।
মেয়ো রোডে মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল বিজেপির। কিন্তু ধর্মতলা চত্বরে আটকে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন- অনশন-আন্দোলনেও বদলাল না সিদ্ধান্ত, আবেদনের জন্য পোর্টাল চালু পর্ষদের