Memari News: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা, আহত ৪
পরবর্তীকালে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারির চেকপোস্টে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে। ঘটনায় দুই পক্ষের ৪ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরবর্তীকালে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে মেমারির চেকপোস্টে।
মেমারিতে তৃণণূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এদিন মেমারি থানা এলাকার চেকপোস্ট এলাকায় গালিগালাজ ও বচসাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু পক্ষের মধ্যে বচসা ক্রমশ হাতাহাতিতে পৌঁছয়। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দুপক্ষের চারজন। জখম চার জনকে মেমারি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু পক্ষই একে অপরের নামে পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গিয়েছে, মেমারির চেকপোস্ট এলাকার তৃণমূল নেতা প্রসূন দাস অভিযোগ করেন যে, তাঁদের একটি ছেলেকে অকারণে গালিগালাজ করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সেই সময় সাময়িকভাবে সমস্যা মিটে গেলেও পুরোপুরি যে মিটে যায়নি, তা টের পাওয়া যায় কিছুক্ষণ পরই। কিছুক্ষণ পরই মেমারির শহর সভাপতি স্বপন ঘোষালের অনুগামীরা লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে অন্য পক্ষকে। দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে সুভাষ পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর মা অনিমা পণ্ডিত তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা মারধর, দোকান ঘর ভাঙচুর করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে বাড়ি আসার সময় গালিগালাজ করে। আমি তৃণমূল করি। কিন্তু আমার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে একেবারেই জড়িয়ে থাকে না। সেই গালিগালাজকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বচসা। আর তারপরউই আমার ছেলেকে ওরা রড দিয়ে মারধর করে।'
আরও পড়ুন - Basanti: বিজেপি করার 'অপরাধে' বাজারের মধ্যে দাঁড় করিয়ে মারধর, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এই ঘটনায় মেমারি শহর তৃণমূলের সভাপতি স্বপন ঘোষাল জানিয়েছেন যে, বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনার পরই মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করে দুপক্ষই। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দু পক্ষের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে- পথ দুর্ঘটনা (road accident) মানে হয় অকালমৃত্যু (death) নয়তো ভয়ঙ্কর আঘাত (fatal injury)। উদ্বেগের বিষয় হল, দুর্ঘটনার এই পরিসংখ্যান হইহই করে বেড়ে চলেছে। কী ভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব এগুলির? আশার আলো একদম যে নেই, তা নয়। সরকারি সংগঠন এবং বিভিন্ন সংস্থা এর মধ্যেই পথ দুর্ঘটনার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। সবচেয়ে বড় কথা হল, দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে তারা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি, চালকের আচরণে নজরদারি, সবটাই চলছে ।