Minakshi Mukherjee: কুয়াশার ভোরে ট্রেনে চেপেই ইনসাফের ব্রিগেডে মীনাক্ষীর মা-বাবা, কী বললেন 'কমরেড' কন্যাকে?
DYFI Brigade : রবিবার সকালে ট্রেন ধরে এলাকার লোকজনের সঙ্গেই কলকাতায় আসেন মীনাক্ষীর বাবা জেলা কমিটির সদস্য সাগর মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মা পারুল মুখোপাধ্যায়ও।
কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি : 'বাবা বলে নয়, লড়াইয়ে কমরেড হিসেবে পাশে থাকতে চাই' - রবিবার সকালে বললেন ব্রিগেডমুখী মীনাক্ষীর বাবা। জানুয়ারির শীতে ট্রেনে চলেই কলকাতায় এসেছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বাবা-মা। রবিবার তিনিই ছিলেন ব্রিগেডের মূল বক্তা। ইনসাফ যাত্রায় তিনিই ছিলেন অন্যতম কাণ্ডারী। তাঁকে দেখেই জেলা জেলা থেকে ব্রিগেডে জড়ো হয়েছিলেন বহু অনুগামী। সেই নেত্রীর মা-বাবা এলেন ট্রেনেই। কমরেডদের সঙ্গে।
'বাবা হিসেবে নয়...কমরেড হিসেবে'
রবিবার সকালে ট্রেন ধরে এলাকার লোকজনের সঙ্গেই কলকাতায় আসেন মীনাক্ষীর বাবা জেলা কমিটির সদস্য সাগর মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মা পারুল মুখোপাধ্যায়ও। স্টেশনে বললেন, মীনাক্ষীর বাবা-মা হিসেবে না, তাঁরা ব্রিগেড যাচ্ছেন একজন কমরেড হিসেবে।
মীনাক্ষির বাবা বললেন, মেয়ে হিসেবে, বাবা হিসেবে নয়...কমরেড হিসেবে। বর্তমান অবস্থায় , দিল্লি ও রাজ্যের সরকারের যে মানুষ মারার নীতি চলছে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত রাজ্যের ছাত্র ও যুবকে যে রাস্তায় নামিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত।
'মেয়ের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মীনাক্ষী আছে'
আর তৃণমূল স্তরে পার্টির কর্মী মীনাক্ষির পারুল মুখোপাধ্যায় বললেন, আজকে লড়াই করছে, ন্যায় বিচারের দাবিতে, চাকরির দাবিতে...রাজ্য বা কেন্দ্রে যে দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। লড়াই করার বিশাল জায়গা পেয়েছে। সারা রাজ্যের মানুষ তার পাশে আছে। আমার মেয়ে তো একা নয়, আমার মেয়ের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মীনাক্ষী আছে। সেই সমস্ত মানুষের সহযোগিতা নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে ও সেই লড়াই জারি রাখার জন্য আমরাও সমর্থন জানাচ্ছি।
মীনাক্ষী বক্তব্যে মা-বাবা প্রসঙ্গ
এদিন মীনাক্ষীও বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন কমরেড বাবা-মায়ের কথা। 'আর বাপ-মায়ের হাত ধরে যখন ব্রিগেডের লড়াইটা করতে এসেছি। তখন আমাদের এটা কেউ শেখায়নি যে, আর ব্রিগেডে মাঠে আর রাজনীতিটা করতে গেলে চোরেদের বাড়িতে জন্ম নিতে হবে। রাজনীতিটা করতে গেলে ২৫ আর ৭৫-এর ভাগ-বাটোয়ারা করতে হবে, দল শেখায়নি। শিখিয়েছে, পাশের জনের হাত ধরতে হবে, আর এগিয়ে যেতে হবে।'
ইনসাফ চাওয়া ব্রিগেডের মুখ ছিলেন মীনাক্ষিই। তাঁর কথা শুনতেই কলকাতায় এসেছিলেন, ব্রিগেডে যাওয়ার পথে এমনটা জানিয়ে গেলেন অনেকেই। ব্রিগেড সমাবেশে তিনি পোডিয়ামে উঠতেই, উঠল হাততালি আর স্লোগানের ঝড় ওঠে। ব্রিগেডের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন কী বার্তা দেন, তা শুনতে গ্রামগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছিলেন বহু সিপিএম কর্মী। তাই মীনাক্ষীকে সামনে রেখেই সুদিন ফেরার আশায় বুক বাঁধছে সিপিএম।