Kolkata News: অনশনে অসুস্থ ডাক্তারি পড়ুয়াকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে, জট কাটাতে মেডিক্যালে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
Hunger Strike At Medical College: ৯৬ ঘণ্টা পার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। আজই মেডিক্যাল কলেজে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ৯৬ ঘণ্টা পার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অনশনরত এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। এদিকে আজই মেডিক্যাল কলেজে যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এখন কোথায় পরিস্থিতি?
আন্দোলনরত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে আজ কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেই এই কনভেনশন হবে। আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও আগামীকাল নাগরিক মিছিলের ডাক দিয়েছ়েন। কলকাতা মেডিক্যালে জট কাটাতে আগামীকালই বৈঠক ডেকেছে স্বাস্থ্য দফতর। বৈঠকে থাকবেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য দফতরের অন্য আধিকারিকরা, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, ডিন এবং আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চার প্রতিনিধি। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি মতো ২২ ডিসেম্বর যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন একেবারেই সম্ভব নয়, সে কথা আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
যা ছবি...
এলাকা স্লোগানে মুখর করে রেখেছেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা যে নিজেদের দাবিতে অনড়, সেটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। অসুস্থ পড়ুয়াকে সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাঁকে ছাড়া বাকি আন্দোলনকারীরা এখনও নিজের অবস্থানে অনড়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এসে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এখনও পর্যন্ত আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে মন্ত্রীর কোনও কথা হয়নি। আদৌ কোনও কথা আজ হবে কিনা, সেটাও স্পষ্ট নয়। আপাতত সব নজর আগামীকালের বৈঠকের দিকে। যদিও আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা এখনও স্পষ্ট জানাননি, তাঁরা সেখানে যাবেন কিনা। তাঁদের দাবি একটাই, লিখিত আমন্ত্রণ জানাতে হবে। সব মিলিয়ে এখনও জট কাটেনি। স্লোগানে মুখর এলাকা।
দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে...
ঠিক কী দাবি অনশনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের? আগামী ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের নির্বাচন করাতে হবে। পড়ুয়াদের হেনস্থায় অভিযুক্ত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গত ৬ ডিসেম্বর অবস্থান বিক্ষোভের দিন কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ ছিল, সেই 'ষড়যন্ত্রের' জবাব দিতে হবে। এই ৩ দফা দাবিতে কলকাতা মেডিক্যালে অনির্দষ্টকালের অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন হবু চিকিৎসক। চিকিৎসক অধ্যাপক দেবাশিস বসু গত কাল অনশনমঞ্চে গেলে তাঁর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাদানুবাদ হয়। পড়ুয়ারা প্রশ্ন করেন, ৬ ডিসেম্বর আন্দোলনের সময় হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখার নির্দেশ কি আপনি দিয়েছিলেন? উত্তরে চিকিৎসক অধ্যাপক জানান এ বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। কেন সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি বন্ধ রাখা হয়েছিল, তার তদন্ত চলছে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ ভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিকে এর মধ্যেই অনশনকারীদের সঙ্গে এসে কথা বলে গিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁর চেম্বারে এসে কথা বলুন পড়ুয়ারা। কেন নির্দিষ্ট তারিখে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয়, অন্য কোন তারিখে তা করা যাবে, সেটা সেই আলোচনাতেই স্পষ্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যসচিব।
আরও পড়ুন:'এটা ওনার মস্তিষ্ক প্রসূত নয়', পার্থ মুখ খুলতেই দাবি শমীকের, কী প্রতিক্রিয়া কুণাল-সুজনের ?