Jyotipriya In ED Custody:রেশন দুর্নীতিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ফের ৭ দিনের ইডি হেফাজত
Ration Scam:রেশন দুর্নীতিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ফের ৭দিনের ইডি হেফাজত। নির্দোষ দাবি করেও জামিনের আবেদন করলেন না রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় কোর্টে পেশের সময় নিজেকে নির্দোষ, রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে (ED Custody For Jyotipriya Mallick) প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ফের ৭দিনের ইডি হেফাজত। নির্দোষ দাবি করেও জামিনের আবেদন করলেন না রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় কোর্টে পেশের সময় নিজেকে নির্দোষ, রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশের সময় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে 'চোর চোর' স্লোগান।
প্রেক্ষাপট...
রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। আগে থেকেই জানা ছিল, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে ED। সূত্রের খবর, রেশন-কেলেঙ্কারির তদন্তে উঠে বেশ কিছু কোম্পানির নাম উঠে এসেছে। ওই সব সংস্থায় বাকিবুর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণও মিলেছে। অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে আরও একটি সংস্থার হদিশ মিলেছে। যারা বাকিবুর-মডেলেই চাল কল, আটা কল, কর্পোরেট অফিস-সহ কলকাতা, হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। এই সমস্ত সংস্থায় রেশন দুর্নীতির কালো টাকা ঢুকেছে বলে মনে করছে ED। সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণ দাখিল করে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে আরও জেরা করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এমনই খবর ছিল সূত্রে।
হলও তাই। ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন, ৭ দিন জেরা করতে পেরেছি, এদিন আদালতে সওয়াল করে ইডি। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তরফেও জামিনের আবেদন করা হয়নি। বরং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর আইনজীবী দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ মেনে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেনি কমান্ড হাসপাতাল। পাল্টা তদন্তকারী আধিকারিকের দাবি, ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে। চিকিৎসাও হয়েছে।
দ্রুত তদন্ত শেষের আবেদন জানান জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী।
বিস্ফোরক বালুর পিএ...
এদিকে এদিনই ষষ্ঠবারের জন্য ইডির কাছে হাজিরা দেওয়ার আগে 'বিস্ফোরক' দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয় প্রাক্তন পিএ অভিজিৎ দাসের। বলেন, 'আগে জানলে কী কপালে এই থাকত?' তাঁর দাবি, 'মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী ও মাকে ৩টি সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়।' ইডি সূত্রে খবর, ৩টি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে নাম ছিল অভিজিতের স্ত্রী সুকন্যা ও মা মমতা দাসের। অভিজিতের আরও সংযোজন, 'সংস্থাগুলিতে কী কাজ হত জানা ছিল না, শুধু জানতাম মন্ত্রী ব্যবসা করবেন। ৩টি সংস্থা হল শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, খবর ইডি সূত্রে।
আরও পড়ুন:'অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে কেন তদন্ত হচ্ছে না?', প্রশ্ন শশী পাঁজার