Municipal Election 2022 : নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই কোচবিহার শহরে পুরভোটের প্রচার শুরু তৃণমূল, উন্নয়ন-প্রশ্নে তরজা
Municipal Election 2022 : কোচবিহার পুর এলাকায় এবার বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জনসংযোগে নামল শাসক দল। ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হল কর্মসূচি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : এখন থেকেই কোচবিহার শহরে (Coochbehar Town) পুরভোটের (Municipal Election) প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল (TMC)। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতার ওয়ার্ড থেকে শুরু হল কর্মসূচি। উন্নয়ন প্রসঙ্গে এলাকাবাসীর ক্ষোভকে হাতিয়ার করে তাঁর সমালোচনা করেছেন উদয়ন গুহ। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বাম নেতাও। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি, প্রকৃত উন্নয়ন একমাত্র তারাই করতে পারবে।
ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। কোচবিহার পুর এলাকায় এবার বাড়ি-বাড়ি ঘুরে জনসংযোগে নামল শাসক দল। ৩ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে শুরু হল কর্মসূচি। যার পুরোভাগে ছিলেন দিনহাটার বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ।
আরও পড়ুন ; বুথ-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থী নির্বাচন, পুরভোটে পূর্ব বর্ধমানে নতুন কৌশল তৃণমূলের
২০১০ থেকে টানা ১০ বছর এই ওয়ার্ডে জিতে আসছে সিপিএম। ২০১৫-র ভোটে এখান থেকে জিতে পুরসভার বিরোধী দলনেতা হন সিপিএমের মহানন্দ সাহা। মঙ্গলবার তাঁর ওয়ার্ডে জনসংযোগ করতে গিয়ে উন্নয়ন ইস্যুতে এলাকাবাসীর কাছে ক্ষোভের কথা শুনলেন উদয়ন গুহ।
উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। স্থানীয়দের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতাকে বিঁধেছেন উদয়ন। তিনি বলেন, কাউন্সিলর এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দেননি। তিনি যদি কাজের চাপ তৈরি না করেন তাহলে কোনও উন্নয়ন হয় না। এখানকার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা ও কোচবিহার পুরসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা বলেন, দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলাম, তাই আমার ওয়ার্ডে কাজ হয়নি। উন্নয়নের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। উদয়নবাবুকে ধন্যবাদ, উনি পুরসভার ব্যর্থতাই তুলে ধরেছেন।
এই ইস্যুতে আসরে নেমেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের দাবি, প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে তারাই। কোচবিহার জেলা বিজেপির সম্পাদক রাজু রায় বলেন, আমি বলব কোচবিহার শহরেরই কোনও উন্নয়ন হয়নি। যারা ছিল তাদের নেতৃত্বে আবর্জনা নগরে পরিণত হয়েছে, বিজেপি দখল না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়।
২০ ওয়ার্ডের কোচবিহার পুরসভায় গতবার বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। তবে বিধানসভা ভোটের ফলের নিরিখে, সব ক’টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।