Murshidabad: ফারাক্কায় শিশুকে শারীরিক নির্যাতন করে খুন, দোষী সাব্যস্ত ২, শুক্রবার সাজা ঘোষণা
Murshidabad News: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল ঘটনার মাসদুয়েক আগে পরিবারের সঙ্গে দিল্লি থেকে ফরাক্কায় দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ৯ বছরের ওই নাবালিকা।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: ফারাক্কায় শিশুকে ধর্ষণ, খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হল ২ জন। ধৃত দীনবন্ধু হালদার এবং শুভজিৎ হালদার। ২ অভিযুক্তই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। সরকারি আইনজীবি বিভাস চ্যাটার্জি জানান, দুই ব্যক্তি মিলেই খুন, ধর্ষণ করেছিল এক শিশুকে। ১৩ অক্টোবর দশমীর সকালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় শিশুকে। শিশুর শরীরে মিলেছে আঘাতের একাধিক চিহ্ন। আইনজীবীর দাবি, মৃত্যুর পরেও অত্যাচার করা হয়। মরদেহ বস্তায় পুরে রাখা হয়। ১৩ তারিখ ফারাক্কা থানায় দায়ের হয় লিখিত অভিযোগ। ঘটনায় জঙ্গিপুরের এস.পি আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয় সিট (special investigation team)। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ একত্রিত করে মাত্র ২১ দিনের মধ্যে আদালতে জমা পড়ে চার্জশিট।
Breaking news!
— West Bengal Police (@WBPolice) December 12, 2024
জয়নগরের পর ফরাক্কা! নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে দু'জন দোষী সাব্যস্ত মাত্র ৬০ দিনে, সাজা ঘোষণা কাল
গত ১৩ অক্টোবর, বিজয়াদশমীর দিন ঘটেছিল নারকীয় ঘটনাটা। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার ফরাক্কা থানা এলাকায় দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করে দীনবন্ধু হালদার (৪৬) এবং শুভজিত…
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল ঘটনার মাসদুয়েক আগে পরিবারের সঙ্গে দিল্লি থেকে ফরাক্কায় দাদুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ৯ বছরের ওই নাবালিকা। রবিবার বিজয়া দশমীর দিন ভোরবেলা বান্ধবীদের সঙ্গে ফুল কুড়োতে দাদুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল সে। এরপর বহুক্ষণ তার কোনও খোঁজ না পাওয়ায় চিন্তায় পড়ে যায় বাড়ির লোকজন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, স্থানীয় এক প্রতিবেশী ফুল দেওয়ার নাম করে ওই নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গেছে। এই খবর পাওয়ার পর নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি বস্তার মধ্যে ওই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সবাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে চড়াও হয়ে। অন্যদিকে ওই নাবালিকাকে খুন করার পর তার মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ঘটনাটি শোনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ফরাক্কা থানার প্রচুর পুলিশ কর্মী। তারপর মৃতদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যেতে সেখানকার চিকিৎসকরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এর ফলে শোকের ছায়া নেমে আসে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।