Kumbh Mela 2023: শুরু কুম্ভ মেলা, ৫ দিন ধরে সাড়ম্বরে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান
Nadia Kumbh Mela 2023: নদিয়ার কল্যাণী মাঝেরচর গৌরাঙ্গ প্রভুর ঘাটে শুরু হল কুম্ভ মেলা, উদ্যোক্তাদের দাবি, কুম্ভ মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগা সাধু সন্ন্যাসীদের সমাগম হবে।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী মাঝেরচর গৌরাঙ্গ প্রভুর ঘাটে শুরু হল কুম্ভ মেলা (Kumbh Mela)। ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ থেকে শুরু হল নদিয়ার কল্যাণীর (Kalyani) মাঝেরচর গৌরাঙ্গ প্রভুর ঘাটে কুম্ভ মেলা। বঙ্গ কুম্ভ মেলা পরিষদের উদ্যোগে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিন ধরে চলবে এই কুম্ভ মেলা।
মোট ১৩টি আখড়া ও ৪টি সম্প্রদায় যুক্ত রয়েছে এই মেলায়। ১৩ ফেব্রুয়ারি শাহি স্নান হবে গঙ্গায়। উদ্যোক্তাদের দাবি, কুম্ভ মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগা সাধু সন্ন্যাসীদের সমাগম হবে। সনাতন ধর্মের পরম্পরা অনুসরণ করে এই কুম্ভ মেলায় শাহি স্নান, বিশ্ব শান্তি যজ্ঞ, গঙ্গা আরতি ধর্মসভা বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে এই পাঁচ দিন ধরে। সকাল থেকেই ভিড় রয়েছে দর্শনার্থীদের। সব মিলিয়ে জমজমাট কল্যাণীর কুম্ভ মেলায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে আশা করছেন আয়োজকরা। বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলা। মকর সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে মহামানবের সাগরতীরে লক্ষ লক্ষ ডুব দিয়েছিল পুণ্যার্থীরা। সূর্যোদয়ের সময় থেকে পুজো অর্চনা, আরতি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানে জমে উঠেছিল সাগরতীর। কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। সাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণার দাবি আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার একই সুর শোনা গেল কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিতের কণ্ঠেও। জ্ঞানদাস মোহান্ত বলেন, 'রাজ্য সরকার ভাল ব্যবস্থা করেছে। মোদির কাছে আবেদন এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হোক।'
আরও পড়ুন, দুর্নীতিকাণ্ডে পরপর নেতা গ্রেফতার, কন্ট্রোল কমিশন চান মদন !
কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছিলেন এবার সাগর সঙ্গমে। চলছিল মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে অংশ নিতে দেশ-বিদেশ থেকে পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা এসেছিলেন। টহল চলছিল পুলিশদেরও। মেলা চত্বরে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চালানো হয় নজরদারি। NDRF, SDRF ছাড়াও মোতায়েন ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী। স্পিড বোটের পাশাপাশি, ড্রোন উড়িয়ে নজরদারিও চলে। মেলা চত্বরে থাকা ওয়াচ টাওয়ারের সাহায্যে ভিড়ের ওপর নজরদারি চালানো হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর আসে, গঙ্গাসাগার মেলায় পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের জন্য ২ হাজার ৭৫০টি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, ২১টি জেটি, ৪টি বার্জের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বারাণসীর ধাঁচে এবার গঙ্গাসাগর মেলাতেও ছিল বিশেষ আরতির ব্য়বস্থা। তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ মঞ্চও।