Primary Recruitment: প্যানেল প্রকাশের পর নতুন মামলা, নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে চাকরিপ্রার্থীরা
Calcutta High Court: মামলাকারীদের দাবি, নম্বর বেশি থাকায় নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় বিএড-এর ডিগ্রি দেখানো হয়।
কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্যানেল ঘোষণার পরদিনই ২০২২-এর প্রাথমিক নিয়োগ (Primary Recruitment) নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নতুন মামলা। নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিএড ও ডিএলএড ডিগ্রিধারী ১০ চাকরিপ্রার্থী। মামলার অনুমতি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে: বিএড ডিগ্রিধারীরা প্রাথমিক নিয়োগে অংশ নিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মামলাকারীদের দাবি, নম্বর বেশি থাকায় নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় বিএড-এর ডিগ্রি দেখানো হয়। তারপর ডিএলএড ডিগ্রি দেখাতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তা মানতে চায়নি। সেই কারণেই ফের হাইকোর্টে মামলা। আগামীকাল এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
২০২৩ সালের পরীক্ষার আগে ২০২২ সালে পরীক্ষা হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। যার ফল বের হয় গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি। এখনও তার ইন্টারভিউ-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এর মধ্যেই ২৪ ডিসেম্বর রাজ্যে হয়ে গেছে আরও একটি পরীক্ষা। কিন্তু, ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ কবে হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটার পরই গতকাল প্রাথমিকে (Primary Teacher Recruitment) নিয়োগের প্য়ানেল প্রকাশ করে পর্ষদ। আর প্যানেল প্রকাশের পরের দিনই নিয়োগে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন দশ চাকরিপ্রার্থী।
গতকাল প্যানেল প্রকাশের পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীর নামের সঙ্গে নম্বরের ব্রেকআপ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের সময় শূন্যপদ ছিল ১১,৭৫৮। তার মধ্যে থেকেই ৯ হাজার ৫৩৩ জনকে দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। এর আগে নম্বর ব্রেকআপ নিয়ে পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল গতকাল জানিয়েছিলেন, "একজন প্রার্থী ইন্টারভিউ, অ্যাপটিচিউড টেস্ট, টেট, ডিএলএড ট্রেনিং, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে কত নম্বর পেয়েছেন সব আলাদা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।''
যদিও বাকি ২ হাজারের বেশি নিয়োগপত্র এখন দেওয়া যাচ্ছে না বলে গতকালই জানিয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি। গৌতম পাল বলে, “২২২৫ জন বাকি থাকছেন। সেটা এখন নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এখন যে নিয়োগগুলি হবে তা Subject to the outcome of the present petitions-সুপ্রিম কোর্টের। এরপরে সুপ্রিম কোর্টে যে শুনানি হবে, ২০২০-২২ ডিএলএড ব্যাচের। তার প্রেক্ষিতে রায় বেরোলে তখন এই ২২২৫ জনকে নিয়োগপত্র দিতে পারব।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Hemant Soren Arrest: একদিনের জেল হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI