Chartradhar Mahato : গ্রহণ হল না অসুস্থতার আর্জি, ছত্রধর মাহাতোর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ
NIA : এনআইএ-র বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, জেলেই ছত্রধর মাহাতোর চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : ছত্রধর মাহাতোর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ হয়ে গেল। এদিন এনআইএ-র বিশেষ আদালতে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন খারিজ হয়। পাশাপাশি ফের জেলে পাঠানো হল ছত্রধর মাহাতোকে (Chatradhar Mahato)। অসুস্থ থাকার কথা বলে অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন ছত্রধর মাহাতো। পাশাপাশি তাঁর ছেলের বিয়ে রয়েছে বলেও জানান। যদিও সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এনআইএ-র বিশেষ আদালত নির্দেশ দেয়, জেলেই ছত্রধর মাহাতোর চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে।
বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা: সূত্রের খবর, হাসপাতাল সূত্রে বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ছত্রধর মাহাতোকে রাজধানী আটকের মামলায় শর্তাধীন অন্তর্বতীকালিন জামিনের আদেশ দিয়েছে এনআইএ বিশেষ আদালত। দুই ছেলে দেবীপ্রসাদ ও ধৃতিপ্রসাদ মাহাতোর বিয়ে যথাক্রমে ৩ এবং ৫ জুলাই। প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান জুলাই।
এই কারণেই শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছিল ছত্রধরকে। ২ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। আগামিকাল অর্থাৎ ৮ জুলাই বিশেষ আদালতে ছত্রধরের হাজিরা দেওয়ার কথা। আর তার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ছত্রধর। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মন্তব্য, 'সবই মিথ্যে,জেল এড়ানোর জন্যই এ সমস্ত করছেন ছত্রধর মাহাতো'।
ছত্রধরের বিরুদ্ধে চার্জশিট: গত জানুয়ারিতে লালগড়ে সিপিএম নেতা খুনে ফের ছত্রধর মাহাতোর (Chhatradhar Mahato) বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA)। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ২০০৯ সালে ঝাড়গ্রামের সিপিএম (CPM) নেতা প্রবীর মাহাতোর (Prabir Mahato) খুনের পরিকল্পনা ছত্রধরেরই। চার্জশিটে ছত্রধর মাহাতো-সহ ১৭ জনের নাম রয়েছে। ১০০ পাতার চার্জশিটে বলা হয়েছে, খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন ছত্রধর। তাঁর নির্দেশেই মাওবাদীরা খুন করেন সিপিএম নেতাকে।
২০০৯ সালের ১৪ জুন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রবীরকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য পুলিশে হাত থেকে সেই মামলার তদন্তের ভার ওঠে এনআইএ-এর হাতে। এত দিন পর, বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট জমা দিল তারা। আর তাতে অধুনা তৃণমূল ছত্রধরকেই মূল ষড়যন্ত্রকারী বলা হয়েছে। ছত্রধর-সহ অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন (UAPA) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩৬৪, ৪৪৯, ৪৫০ এবং ১২০-র বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনআইএ।
আরও পড়ুন: ABP ANANDA EXCLUSIVE: পোস্টার-বিতর্ক নিয়ে কী বলছেন মহুয়া মৈত্র? এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার