Darivit Case: দাড়িভিটকাণ্ডে তদন্ত শুরু করল NIA
NIA on Darivit Case: শনিবার এনআইএ-র পাঁচ সদস্যের দল দাড়িভিটে পৌঁছন।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: দাড়িভিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রায় পাঁচ বছর পর হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে দাড়িভিটকাণ্ডে তদন্ত (NIA) শুরু করল এনআইএ।
দাড়িভিটে এনআইএ-র পাঁচ সদস্য
শনিবার এনআইএ-র পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল দাড়িভিটে পৌঁছন। তদন্তকারী দলটি দাড়িভিটে পৌঁছে মৃত তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মনের সঙ্গে কথা বলেন। দাড়িভিট এলাকা তারা ঘুরে দেখেন। বেশ কিছুক্ষণ তারা সেখানে থাকার পর তদন্তকারী দলটি এলাকা ছাড়েন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বাংলার শিক্ষকের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় উত্তর দিনাজপুরের দাড়িফিটে। সেই সময় গুলিবিদ্ধ মৃত্যু হয় দুই ছাত্র তাপস বর্মন এবং রাজেশ সরকারের। পরিবার এবং স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। পুলিশ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে। তাতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। গোটা ঘটনায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। সেই মামলাতেই NIA তদন্তের এই নির্দেশ।
ঠিক কী হয়েছিল ?
দাড়িভিট স্কুলে বাংলা এবং বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগকে ঘিরেই বছর পাঁচেক আগে বিক্ষোভ ছড়ায়। অভিযোগ, স্কুলে অঙ্ক এবং বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকের প্রয়োজন থাকলেও, উর্দু এবং সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই নিয়ে বিতর্ক বাধে, ক্রমে তা বিক্ষোভের আকার ধারণ করে। সেই বিক্ষোভ চলাকালীনই পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের সংঘর্ষ বাধে এবং তাতে গুলি চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
শনিবার ঘটনার তদন্ত শুরু করল এনআইএ
প্রাথমিক ভাবে দাড়িভিটের ঘটনায় তদন্ত ভার হাতে নেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। উল্লেখ্য, রাজ্য ঘটনার তদন্তভার সিআইডি হাতে দিলেও মৃতের পরিবার সেই তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।সিবিআই তদন্তের দাবিতে মৃতদেহ দাহ না করে বাড়ির পাশে তাঁদের দেহ সমাধিস্ত করে রাখেন। দীর্ঘ দিন যাবদ মৃত ছাত্রের পরিবার সিবিআই অনড় ছিলেন।পরে ওই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে। তাতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন মামলা থেকে সরে দাঁড়ায়। দফায় দফায় সেই নিয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে। শেষ মেশ বছর পাঁচেক পর NIA তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পরই শনিবার ঘটনার তদন্ত শুরু করল এনআইএ।