(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
NMC Notification: অভব্য আচরণ পেলে চিকিৎসা বন্ধ, রোগীকে রেফারও করতে পারেন চিকিৎসক! বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
Doctors Ethics Code: হাসপাতাল, নার্সিংহোমে রোগীর পরিবার-পরিজনদের রোষের মুখে প্রায়শই পড়তে হয় চিকিৎসকদের। তার জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: উত্তেজিত এবং মারমুখী রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় মেডিক্য়াল কমিশন। আর সেই নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত খোদ চিকিৎসক মহলই। চিকিৎসকদের একাংশ নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানালেও, তাঁদের অপর একটি অংশ, NMC-র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহে নেমেছেন। (NMC Notification)
হাসপাতাল, নার্সিংহোমে রোগীর পরিবার-পরিজনদের রোষের মুখে প্রায়শই পড়তে হয় চিকিৎসকদের। আচমকা রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, হেনস্থা, মারধর, কিছুই বাদ যায় না। এমন পরিস্থিতিতেই চিকিৎসকদের স্বার্থে, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। (Doctors Ethics Code)
ওই বিজ্ঞপ্তির ২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোন রোগীকে দেখবেন, আর কোন রোগীকে দেখবেন না, তা ঠিক করতে পারবেন চিকিৎসকরা। কোনও রোগীর পরিবার অভব্য় আচরণ করলে বা হেনস্থা-মারধর করলে, সংশ্লিষ্ট রোগীকে রেফার করে দিতে পারেন একজন চিকিৎসক।
তবে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিৎসাকে রেফার করলেও, অন্যত্র যাতে তাঁর চিকিৎসার ব্য়বস্থা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে। তবে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে এমন রোগীর চিকিৎসা করা বাধ্য়তামূলক বলে জানানো হয়েছে। এথিক্স কোডের বদলে এখন থেকে চিকিৎসকদের এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: SSKM Hospital: কপাল ও চোখের মাঝে বিঁধে কাঁচি, SSKM-এ আবারও বিরল অস্ত্রোপচার, নতুন জীবন পেল শিশু
কিন্তু NMC-র নয়া বিজ্ঞপ্তিতে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোনও কোনও মহলে। বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে সই সংগ্রহে নেমেছেন চিকিৎসকদেরও একাংশও। চিকিৎসকদের অন্য একটি অংশ অবশ্য, NMC-র নতুন নির্দেশিকাকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
চিকিৎসব অভিজিৎ চৌধুরীর বক্তব্য, "আমাদের মনে হয় এই রকম ভাবে বিষয়টিকে অধিকারের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াটা সঠিক পদ্ধতি নয়। এতে চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পৃথিবীর কোনও নীতিতেই চিকিৎসকদের অধিকার দেওয়া যায় না যে, চাইলে রোগীর চিকিৎসা থেকে বিরত হতে পারবেন তিনি।"
যদিও চিকিৎসক প্রভাসপ্রসূন গিরির বক্তব্য, "অতি উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু এই নির্দেশিকায় অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। অভব্য আচরণ বলে কোনটি গন্য হবে, কী, তা বলা নেই নির্দিষ্ট করে। রোগী বা তাঁর পরিবারের কাছ থেকে কোমন ব্যবহার পেলে চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে, তা বলা নেই। পরবর্তী কালে ওই রোগীর অবস্থা খারাপ হলে, তখন দায় কে নেবে, এগুলো স্পষ্ট না হলে প্রস্তাবের বাস্তবায়ন অসম্ভব।" সব মিলিয়ে NMC-র নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে চিকিৎসকমহলেই ধরা পড়েছে বিভাজন।