North 24 Paraganas: বিদ্যাধরী নদীতে মাটি ফেলে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের
North 24 Paraganas News: যেভাবে নদীর এক পাশে মাটি ফেলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, তার পিছনে কি কারও মদত রয়েছে? এই নিয়েই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে বিজেপি ও তৃণমূল।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দেগঙ্গায় বিদ্যাধরী নদীতে (Bidyadhari River) মাটি ফেলে অবৈধ নির্মাণের (illegal construction) অভিযোগ। তৃণমূল নেতাদের মদতে চলছে অবৈধ কারবার। অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল (TMC)। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
বিদ্যাধরীতে ‘অবৈধ নির্মাণ’!
নদীর নামেই রয়েছে বিদ্যা, কিন্তু সেখানেই অবৈধ কারবারের অভিযোগ। উত্তর চব্বিশ পরগনা ও কলকাতার অন্যতম প্রধান নিকাশির মাধ্যম হল বিদ্যাধরী নদী। যার এক পাশে মাটি ফেলে অবৈধভাবে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাঁচিল ঘিরে চলছে নির্মাণ কাজ। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর এলাকার বাসিন্দারা।
যেভাবে নদীর এক পাশে মাটি ফেলে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে, তার পিছনে কি কারও মদত রয়েছে? এই নিয়েই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে বিজেপি ও তৃণমূল। অভিযুক্ত সচিন ঘোষকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
দেগঙ্গার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অভিযোগ আমরা পেয়েছি। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যায় প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেখান থেকে একটি পে লোডার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে।
বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ কেটে ব্যক্তিগত জমিতে জল ঢোকানোর অভিযোগ
পূর্বেও বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ কেটে ব্যক্তিগত জমিতে জল ঢুকিয়ে পলিমাটি জমানোর অভিযোগ ওঠে। তারপর নদীর সেই পলিমাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায় (soil smuggling), চাঞ্চল্যকর এমনই অভিযোগ ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত প্রধান। পাল্টা সাফাই দেন ব্লক প্রশাসন।
সেই সময়ে দেগঙ্গার গাংনিয়ার বাসিন্দা বলেন, 'জোয়ারের সময় বিদ্যাধরী নদী থেকে মাটি কেটে সরু যে নাসি খাল আছে, সেখানে নৌকা স্টক রাখছে। সময়মতো মাটি নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছে। নদীর উর্বরতা কমছে।' কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল নেই অভিযুক্তের। কথাতেই স্পষ্ট বেপরোয়া মনোভাব। অভিযুক্ত মাটি পাচারকারীর দাবি ছিল, 'যেটা কাটছি নিজেদের সম্পত্তি। কোনও অবজেকশন নেই।' স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধান দায় চাপিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের ওপর।