Sandeshkhali Arrest: ঝাড়খন্ড থেকে ধৃত শেখ শাহজাহানের 'শাগরেদ' আমির আলি গাজি
Sheikh Shahjahan:শেখ শাহজাহানের পর গ্রেফতার তার শাগরেদ বলে পরিচিত আমির আলি গাজিও। ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার আমির।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: শেখ শাহজাহানের (Sandeshkhali Incident) পর গ্রেফতার তার শাগরেদ বলে পরিচিত আমির আলি গাজিও (Amir Ali Gazi Arrest)। ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার আমির। ধর্ষণের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এদিন মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। ঝাড়খণ্ড থেকে ধৃত তার সঙ্গী।
কী জানা গেল?
বৃহস্পতিবার দুপুরের ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার হয় আমির আলি গাজি। তাকে আদালতে পেশ করা হয় বলেও খবর। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যখন ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসছিল, তখনই এই আমির আলি গাজির নাম প্রকাশ্যে আসে। আমির সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। স্থানীয়দের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আমির আলি গাজি ধৃত উত্তম সর্দারের সহযোগী। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকেরই এক বাসিন্দা, শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ অনুচরের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির সময়ও আমির অধরা ছিল বলে খবর। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন এবং আরও কিছু তথ্যপ্রমাণ দফায় দফায় খতিয়ে দেখা হয়। ধর্ষণের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আমিরের বাড়িতেও খোঁজখবর করেছিল পুলিশ। কিন্তু সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে খবর। আশপাশে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজখবর চালায় পুলিশ। হদিস না মেলাতেই মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে নজরদারি শুরু হয়। তখনই ঝাড়খন্ডের বিষয়টি উঠে আসে। বসিরহাট জেলা পুলিশের একটি টিম ঝাড়খন্ডের দিকে রওনা দিয়েছিল। গ্রেফতারির পর তাকে সন্দেশখালি নিয়ে আসা হয়। আজ বসিরহাট কোর্টে পেশ করা হলে তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির পর সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তভার সিআইডি নিলেও আমির আলি গাজির বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত বসিরহাট জেলা পুলিশই করবে। সূত্রের খবর, ধর্ষণের এই অভিযোগে আরও কেউ সামিল রয়েছে কিনা, আমির আলি গাজিকে সেই নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
যা ঘটল...
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ED ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে CID। এদিন প্রথমে বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বরে পেশ করা হয় শাহজাহানকে। শাহজাহানকে আদালতে পেশ করার আগে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায় বসিরহাট মহকুমা আদালত চত্বর। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় আশপাশের রাস্তা। আদালতের করিডরও দড়ি দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিশ। আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ, র্যাফ, EFR। সেখান থেকে এদিন তৃণমূল নেতাকে সোজা ভবানী ভবনে আনা হয়।
আরও পড়ুন:বকেয়া মেটাননি শাহজাহান-শিবুরা, সন্দেশখালিতে তৃণমূলের হয়ে দেওয়াললিখনেও নারাজ শিল্পীরা