North 24 Parganas: শ্রমিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় প্রতিবাদ, কাজ বন্ধ ভাটপাড়ার জুটমিলে
Bhatpara News: বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনই শ্রমিক অসন্তোষের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিলে।
সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: এক শ্রমিককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিলে কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় সরব সাংসদ অর্জুন সিংহ। কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রতিবাদে বন্ধ কাজ: সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। ভাদ্র সংক্রান্তিতে কল-কারখানায় যন্ত্রদেবতা বিশ্বকর্মার আরাধনা, ওই দিন থেকেই সূচনা হয় বাঙালির শারদোৎসবের। কিন্তু সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিনই শ্রমিক অসন্তোষের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিলে। শ্রমিকদের একাংশের দাবি, কয়েকদিন আগে এক শ্রমিককে অন্যায়ভাবে কাজ থেকে বসিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তাঁকে কাজে ফেরানোর দাবি না মানায়, রবিবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে দেন অন্য শ্রমিকরা।
জুটমিলে স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে কাজ করেন কয়েক হাজার শ্রমিক। তাঁরা কাজ না করায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারখানার উৎপাদন। পাটশিল্পের উন্নয়ন, কাঁচা পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া, চটের দাম বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে বিজেপিতে থাকাকালীন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধেই সংঘাতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তৃণমূলে ফেরার পরেও পাটশিল্প নিয়ে সরব অর্জুন সিংহ। ঘটনা নিয়ে জুটমিল মিল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শ্রমিক অসন্তোষ ও জুটমিল বন্ধের ছবি এ রাজ্যে বেশ চেনা। মাস পাঁচেক বন্ধ থাকার পর গত বছর মে মাসে হুগলির ভদ্রেশ্বরে শ্যামনগর নর্থ জুটমিলে খুলেছিল। তবে সেবারও কর্মস্থলে গিয়ে কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা। তাঁদের দাবি, কম শ্রমিক দিয়ে বেশি কাজ করাতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। যদিও এনিয়ে জুটমিল কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি। শ্রমিকদের দাবি,পারিশ্রমিক কমিয়ে বেশি কাজ পেতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। সিটুর দাবি, কর্তৃপক্ষই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। যদিও শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দাবি, শ্রমিকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি হওয়া নিয়ে কিছু বলতে চাননি শ্যামনগর নর্থ জুটমিল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাচক্রে, যেদিন এমন ঘটছে সেই দিনই দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা। সকাল থেকেই বেসরকারি ইস্পাত কারখানার গেটের সামনে চলছে বিক্ষোভ। যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকার বাসিন্দা। সকলেরই দাবি, কারখানায় কর্মী নিয়োগ করতে হলে, অগ্রাধিকার দিতে হবে স্থানীয়দের। আর এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোজ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Guest Lecturer Recruitment: ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা! অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক