North 24 Parganas: 'ভোট লুঠ করতে এলে মালাইচাকি ভাঙুন', কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
BJP Leader In Controversy: 'ভোট লুঠ করতে এলে, হাঁটুর মালাইচাকি ভাঙুন', জাহাজ-প্রতিমন্ত্রীর সামনে ঠেঙাড়ে বাহিনীর দাওয়াই বিজেপি নেতার। সঙ্গে বললেন, 'চার হাত বাঁশ তৈরি রাখুন', হুঙ্কার দেবদাস মণ্ডলের
উত্তর ২৪ পরগনা: 'ভোট (vote) লুঠ (rigging) করতে এলে, তাঁর হাঁটুর (knee) মালাইচাকি ভাঙুন (break)', জাহাজ-প্রতিমন্ত্রীর (central minister) সামনেই ঠেঙাড়ে বাহিনীর দাওয়াই বিজেপি নেতার (BJP Leader)। সঙ্গে আরও বললেন, 'চার হাত বাঁশ তৈরি রাখুন। ভোট লুঠ করতে এলে হাঁটু ভেঙে দিন', গাইঘাটার বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে এভাবেই হুঙ্কার দেওয়ার (provocative comment) অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে। মঞ্চে তখন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (shantanu thakur) বসে রয়েছেন। তাঁর সামনেই বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ দলীয় নেতার বিরুদ্ধে।
কী বলেছেন দেবদাস?
'আগামী যে পঞ্চায়েত ভোট হবে, আগেও বলেছি, এখনও বলছি...তৈরি থাকুন। তৃণমূলের যাঁরা রয়েছেন, শুনছেন। বাড়িতে বসে যাঁরা ঘরের দরজা দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে শুনছেন, তাঁদের বলে দিতে চাই আগামী যে দিন আসছে তার জন্য তৈরি থাকুন। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে, সাদা খাতা জমা দিয়ে কিছু মানুষ চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন এবং যাঁদের টাকা নিয়েও চাকরি মেলেনি, আপনারা তৈরি থাকুন। ...টাকা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন। এই মানুষ, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাঁরাই আপনার বাড়ি গিয়ে ...বুকে...গলায় ধরে টাকা আদায় করে নেবে', বলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। যে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তিনি এমন বার্তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া...
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের মতো একঝাঁক নেতানেত্রীকে হেলিকপ্টারে করে ডেলি-প্যাসিঞ্জারি করিয়ে এনে, কোটি কোটি টাকা কলের জলের মতো খরচ করে, সেন্ট্রাল এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে, সাততারা হোটেল ভাড়া করে, অমিত মালব্যকে দিয়ে মিথ্যা প্রচার করলেও বাংলার জনতা-জনার্দন ভোটবাক্সে যেভাবে তাঁদের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে, তার পর তাঁরা আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। এটা তাঁদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।' শান্তনু অভিযোগ, প্রতি মুহূর্তে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই দলটির রাজনৈতিক দৈন্য এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এবার সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে রাজনীতিতে ভেসে থাকতে চাইছে তারা। 'সেই জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে এমন উস্কানিমূলক বিবৃতি', মত তাঁর।
আরও পড়ুন:'হিরনের খোঁচা খেয়ে মালদ্বীপ থেকে ঘাটালে', সফরের আগে বিজেপির পোস্টার