Mamata On CAA: 'নাগরিক না হলে সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন কী করে?', সিএএ প্রশ্নে নাম না করে শাহকে পাল্টা মমতার
De Ganga Meeting:'নাগরিক না হলে সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন কী করে?', সিএএ নিয়ে নাম না করে দেগঙ্গার সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাল্টা নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
দেগঙ্গা: 'নাগরিক না হলে সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন কী করে?', সিএএ নিয়ে নাম না করে দেগঙ্গার সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Union Home Minister Amit Shah) পাল্টা নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (CM Mamata Banerjee On CAA)। বললেন, 'সমাজে ভাগাভাগি করার জন্য এসব করা হচ্ছে।' কড়া সুরে তৃণমূলনেত্রী বললেন, 'ভোটের সময় বড় বড় কথা বলে ভোট চাইতে আসে।' কিন্তু তৃণমূল যে এই ধরনের ভাগাভাগিকে প্রশ্রয় দেয় না, সেটাও স্পষ্ট করতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'আমরা সকলকে পাট্টা দিচ্ছি, যাতে তাঁদের উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে না হয়।'
বিশদ...
মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন, 'মতুয়াবাড়ির সৌন্দর্য কে করে দিয়েছে? আমরা করেছি। শুধু নির্বাচনের সময় বড় বড় কথা... একটু মতুয়া ঠাকুরের বাড়িতে ঘুরে এসে বলবেন, ভোটটা আমাদের দাও।' তৃণমূলনেত্রীর মতে, 'মনে রাখবেন, আপনারা সকলে এই দেশের নাগরিক। না হলে রেশন পাচ্ছেন কী করে? আপনারা স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছেন কী করে? আপনার প্যান কার্ড, আধার কার্ড হচ্ছে কী করে? এগুলো একটা ছলনা।' তাঁর অভিযোগ, সমাজে ভাগাভাগি করার জন্য সিটিজেনশিপ কার্ডের এই চেষ্টা। মমতার দাবি, 'প্রত্যেকটি উদ্বাস্তু কলোনিতে আমরা পাট্টা দিচ্ছে। তার নাম, চিরস্থায়ী ঠিকানা।' কাউকে যাতে উদ্বাস্তু হয়ে না থাকতে হয়, সেখান থেকেই এই ভাবনা, সংযোজন তাঁর।
প্রেক্ষাপট...
সিএএ চালু নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের তরজা বঙ্গবাসী আগেও দেখেছেন। গত নভেম্বরেই যেমন, ঠাকুরনগরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয়কুমার মিশ্র বলেন, 'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন দেশে প্রণয়ন হয়ে গিয়েছে।৩০ মার্চের মধ্যেই সিএএ-র বিধি তৈরি হয়ে যাবে। কেউ মতুয়াদের দেশ থেকে তাড়াতে পারবে না।' তাঁর এহেন মন্তব্যের সময় পাশেই বসেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। শুধু তাই নয়। গত নভেম্বরে এই রাজ্যের সভা করেই খোদ অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, 'ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।' ঘটনা হল, উনিশের লোকসভা ভোট থেকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন, বার বার আলোচনায় উঠে এসেছে সিএএ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর নেপথ্যে অবশ্যই মতুয়া ভোটের গুরুত্ব রয়েছে। বাংলায় প্রায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ মানুষ নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের, যার সিংহভাগই মতুয়া। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রাজ্যের ১০২টি বিধানসভা কেন্দ্রে মতুয়াদের প্রভাব আছে। এর মধ্যে ৩১টি সংরক্ষিত আসনে কার্যত নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয় মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক। তাই মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে টানাপড়েন জারি থাকে বিজেপি-তৃণমূলের।
আরও পড়ুন:'পুরসভায় স্ত্রী ও ভাইয়ের চাকরি..', ED-র নজরে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান