তোলাবাজি, অস্ত্র পাচার নিয়ে বিরোধ, দিনেদুপুরে গুলি প্রৌঢ়কে
গতকাল রাতেই বরুনহাট এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের ভরদুপুরে শুটআউট। এবার ঘটনাস্থল হাসনাবাদের কোন্নগর। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকারই বাসিন্দা আমির আলী গাজী নামের বছর ৫৩-র এক ব্যক্তিক। গতকাল দুপুরে দু-জন অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীদের গন্ডগোলের জেরেই গুলি চালানো হয়। আহতকে গুরুতর জখম অবস্থায় আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় গতকাল রাতেই বরুনহাট এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ভেরিতে টাকার নিয়ে বচসা, তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচার নিয়ে বিরোধের জেরেই বচসা চরমে পৌঁছয়। এরপরই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।
চলতি মাসের শুরুতেও এই একই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। টোটোর লাইনে কে আগে গাড়ি রাখবে? এই নিয়ে তুমুল বিতর্কের জেরে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চলে মালদার বৈষ্ণবনগরে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এই শুট আউটের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন একজন। বৈষ্ণবনগরের বাজাপ্তি গ্রামে ঘটনাটি। এই ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জানা গিয়েছে পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের জেরে আচমকাই চলেছিল গুলি। এই লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি।
বৈষ্ণবনগর থানার বাজাপ্তী গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে বৈষ্ণব নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির পায়ে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় ৪ জন মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশি টহল চলেছে বহুদিন।
অন্যদিকে ওই একই দিনে তোলাবাজি, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়ার ভট্টনগর ঘুঘু পাড়ায়। গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ একই পাড়ার ২টি দলের মধ্যে সংঘর্ষের বাধে। আহত হন দু-জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লিলুয়া থানার পুলিশ। এর পর সংঘর্ষের মুখে পড়ে পুলিশও। তাঁদের গাড়িতে হামলার চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় দু-জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার কুখ্যাত তোলাবাজ চঞ্চল দাস গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ দলবল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ দেব রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। চলতে থাকে পাথর বৃষ্টি। ভেঙে দেওয়া হয় ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাও। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।