Naihati News: মোমো খাওয়ার জন্য ডেকে প্রেমিককে 'খুন' নৈহাটিতে !
Naihati Murder Case:মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী এক গৃহবধূর সঙ্গে সুব্রতর ত্রিকোণ প্রেম ছিল..
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মোমো খাওয়ার জন্য ডেকে প্রেমিককে খুন ! ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের ঘটনায় চাপা উত্তেজনা নৈহাটি দোগাছিয়া এলাকায়। নৈহাটি দোগাছিয়া এলাকায় এক বাঁশবাগানের থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সুব্রত হালদার (২৫)।মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাশ্ববর্তী এক গৃহবধূর সঙ্গে সুব্রতর ত্রিকোণ প্রেম ছিল।আর তার জেরেই ওই গৃহবধূ পরিজনরা শ্বাসরুদ্ধ করে তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।পুলিশ ওই অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ তাঁর স্বামী এবং দেওরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মোমো খাওয়ার টোপ দিয়ে সুব্রতকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে।
মৃতের দিদিও এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন। বলেন, তুই একটা মেয়ে মানুষ । তোরা সবাই, দেওর মিলে কেন মেরে দিলি ? তিনি আরও বলেন, আমার ভাই একটা শিক্ষিত ছেলে। ওর চাকরি হবে বলে,আমরা কখনও কোনও থানা পুলিশে যাই না। কিন্তু আমার ভাইটাই চলে গেল..। মৃতের দিদি, ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেওর-সহ একাধিক বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের মা। বলেন, সম্প্রতি তিনি দেখেছিলেন, প্রায় ৪-৫ দিন ধরে তার ছেলেকে মাঝেমধ্যে ফোন করে পুকুর ধারে নিয়ে যেত ওরা।' তবে কি তখন থেকে খুনের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছিল ?
মৃতের দিদি আরও বলেন, 'সন্ধ্যে ৭ টায় ফোন এসেছিল। বউটা সবসময় ওর কাছে টাকা পয়সা চাইতো। ওর দাদা চাইতো। আমার ভাই সকলেই টাকা পয়সা দিত। কাউকে না করত না। প্রত্যেকের অসুবিধায় পাশে থাকত ভাই বলেই জানাতেন মৃতের দিদি। মৃতের গলায় এবং নাকের উপরে আঁচড়ের দাগ ছিল বলেই জানিয়েছেন দিদি ।
আরও পড়ুন, 'মমতা চাইছেন না শাহজাহান ধরা পড়ুক, কারণ..', বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
সম্প্রতি এমনই এক নৃশংস খুনের ঘটনা প্রকাশ্য়ে এসেছিল পাথরখাদানে। বন্ধুকে নিশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছিলল আরও এক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল দুর্গাপুরের পারুলিয়ার ড্যামপাড়ায়। এক সন্ধ্যায় ওই এলাকা থেকে হাত, পা, বাঁধা এবং গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল যুবকের দেহ। জানা গিয়েছিল, অনিল ভুঁইয়ার সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। এদিকে সেই মেয়েটিকেই বিয়ে করতে চাইছিল আকাশ। আর এই নিয়ে নিয়েই অনিল ও আকাশের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তবে সেই বিবাদই যে কাল হবে, কেউ তা ভাবেনি।