North 24 Paraganas: দু’ভরি ওজনের সোনার বালা কুড়িয়ে থানায় জমা দিলেন কাপড়ের দোকানের কর্মী
সোনার দোকানের কর্মী রাসমোহন সূত্রধর বাটার মোড় এলাকায় এসে হঠাৎ খেয়াল করেন, তাঁর পকেটে থাকা সোনার বালা দুটি নেই৷ দ্রুত দোকানের ফিরে যান তিনি বিষয়টি জানান দোকান মালিক তরুণ সিনহাকে।
সমীরণ পাল, বনগাঁ (উত্তর ২৪ পরগনা): ফের সততার নজির বনগাঁয় ৷ দিন কয়েক আগেই নগদ টাকা পেয়ে তার মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন টোটো চালক, এবার প্রায় দু’ভরি ওজনের দুটি সোনার বালা কুড়িয়ে পেয়ে থানায় জমা দিয়ে সততার নজির গড়লেন বাটার মোড় এলাকার এক কাপড়ের দোকানের কর্মী তাপস চক্রবর্তী।
জানা গেছে বনগাঁ মতিগঞ্জ এলাকার একটি সোনার দোকানের এক কর্মীকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মুল্যের দুটি সোনার বালা দিয়ে মালিক কারখানায় পাঠিয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার ৷ সোনার দোকানের কর্মী রাসমোহন সূত্রধর বাটার মোড় এলাকায় এসে হঠাৎ খেয়াল করেন, তাঁর পকেটে থাকা সোনার বালা দুটি নেই৷ দ্রুত দোকানের ফিরে যান তিনি বিষয়টি জানান দোকান মালিক তরুণ সিনহাকে। এরপর শুরু হয় খোঁজ৷ দুপুর গড়িয়ে বিকেল, তবুও সন্ধান মেলেনি সোনার বালা দুটির। অবশেষে এক বন্ধু মারফত তরুণ বাবু জানতে পারেন বালা দুটি কুড়িয়ে পেয়ে বনগাঁ থানায় জমা দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এরপর বনগাঁ থানায় যোগাযোগ করেন তরুণ বাবু। পুলিশের উপস্থিতিতে কাপড়ের দোকানের কর্মী তাপস বালা দুটি তুলে দেন তরুণের হাতে। বালা পেয়ে স্বভাবতই খুশি দোকান মালিক। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দামের জিনিস কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিয়েছেন তাপস, তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই৷ এ বিষয়ে তাপস বলেন , ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়ে খুলে দেখি ভেতরে দুটি সোনার বালা। আমি আর দেরি না করে সেটি থানায় জমা দিয়ে দিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, গত মাসেই রাস্তা থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা কুড়িয়ে পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একজন ফুড ডেলিভারি বয়। আর এমন সততার পরিচয় দিয়ে মন জিতেছিলেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছিল খাস কলকাতায়। উইকেন্ডে কাজের চাপ ছিল, ছিল সময় মতো খাবার পৌঁছনোর তাড়াও। তবে দায়িত্ব পালনে পিছ পা হননি ওই তরুণ। একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থায় ডেলিভারি বয়ের কাজ করেন বছর ২৩-এর অজিত কর্মকার। ঘটনার দিন বেলেঘাটা মেইন রোড দিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে ক্রেতার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন অজিত। সিআইটি রোডের কাছে পৌঁছতেই থামতে হয় তাঁকে। তিনি দেখতে পান একটি প্যাকেট পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে। সেটি হাতে নিয়ে খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট- সহ ১০,২০০ টাকা নগদ রয়েছে সেই প্যাকেটে। সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেটটি নিয়ে বেলেঘাটা থানায় পৌঁছে যান অজিত। অক্ষত অবস্থায় থানায় জমা দেন প্যাকেটটি। ডকুমেন্টে লেখা ছিল লাল মোহন দাসের নাম। খোঁজ খবর করে ট্যাংরার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে খবর দেয় পুলিশ। এর পর লাল মোহন দাস এসে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ ব্যাগটি ফেরত নিয়ে যান।