Khardaha By-poll: খড়দায় প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রীকে প্রার্থী না করায় খোঁচা অর্জুনের,পাল্টা জবাব তৃণমূলের
নির্মল ঘোষ বলেছেন, ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। কাজলদা শ্রদ্ধার জায়গায় ছিলেন। তাই তাঁর স্ত্রীকে দলের পরিবারে আনা হয়েছে।
সমীরণ পাল,উত্তর ২৪ পরগনা: খড়দার প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার স্ত্রীকে প্রার্থী না করে তাঁর পরিবারের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় পদ।এমনই অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। প্রয়াত প্রার্থীর স্ত্রী জানিয়েছেন, দলের দায়িত্ব পেয়ে তিনি খুশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরে যুদ্ধ শেষ। বিজেপির নজরে এবার ভবানীপুর ছেড়ে আসা তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য কেন্দ্র খড়দা। ৩০ অক্টোবর খড়দা সহ রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। খড়দা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন কাজল সিনহা। কিন্তু ভোটপর্বের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই ফল তিনি আর দেখে যেতে পারেননি। তাঁর স্ত্রীকে খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি করে দল।
কোনও দলের তরফে এখনও সরকারিভাবে প্রার্থী ঘোষণা না হলেও, খড়দায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলকে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।
ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি অর্জুন সিংহ বলেছেন, তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে তৃণমূলের ব্যাপার। কিন্তু কাজল সিনহা, আমরা জানতাম, তৃণমূলে কেউ মারা গেল তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করা হয়। এই ক্ষেত্রে কাজল সিনহা পরিবারের সঙ্গে অন্য়ায় করা হয়েছে। ওনাকে প্রার্থীপদ দেওয়া উচিত ছিল। ওখানে তো সান্ত্বনা পুরস্কারই পাওয়া যায়। বেঁচে থাকলে সব ঠিক থাকে। মরে গেলে দল ফিরে দেখে না।
অর্জুনের এই কটাক্ষ উপেক্ষা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ বলেছেন, ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। কাজলদা শ্রদ্ধার জায়গায় ছিলেন। তাই তাঁর স্ত্রীকে দলের পরিবারে আনা হয়েছে।
প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী ও খড়দা বিধানসভার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভাপতি নন্দিতা সিনহা বলেছেন, আমি খুব খুশি। দল দায়িত্ব দিয়েছে। আরও আগে সভাপতি করা হলে আরও বেশি মানুষের কাছে যেতে পারতাম।
খড়দায় ভোটের দেরি রয়েছে। কিন্তু একে অপরকে বিঁধতে খামতি রাখছে না বিজেপি ও তৃণমূল-উভয় দলই। ফলে দুই দলের বাগ্যুদ্ধে বিরাম নেই।