North 24 Parganas: লক্ষ মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক, তিনশোরও বেশি সমর্থক নিয়ে তৃণমূলে যোগ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের
বিলকান্দা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তিনশোজন সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : সামনেই আরও চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election)। তার আগে খড়দহ বিধানসভার উপনির্বাচনে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্কের উপর নজর দিলো শাসকদল। জানা গিয়েছে, বিলকান্দা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তিনশোজন সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই যোগদান মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন - North 24 Pargana: কাল থেকে খড়দায় প্রচারে নামছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
আগামী চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে বড়সড় ভাঙন দেখা দিলো বিজেপি শিবিরে। সূত্রের খবর, মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় ভোট ব্যাঙ্কের উপর বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল। আর তার জেরেই বিলকান্দা দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন নেতা শুধু নিজেরাই তৃণমূলে যোগ দিলেন না। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ দিয়েছেন আরও তিনশো সমর্থকও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ সৌগত রায় এই এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহের প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিনহা এই এলাকায় এক হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে ছিলেন।
খড়দহ তিন নম্বর মন্ডলের বিজেপি তফশিলি জাতি উপজাতি মোর্চার সভাপতি লক্ষণ বর এবং তিন নম্বর মন্ডলের বিজেপি সহ-সভাপতি প্রভাস করের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা এদিন তৃণমূলের পতাকা নিয়ে শাসকদলে যোগদান করেন। আরও জানা গিয়েছে যে, বিলকান্দা দু নম্বরের অঞ্চল সভাপতি সজল দাস গত পরশুদিন বিলকান্দায় একটি নির্বাচনী সভা করছিলেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কাছেই তিনি প্রস্তাব দেন যে বেশ কিছু কর্মী সমর্থম বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে চান। এরপরই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তৃণমূলের যোগদানের কর্মসূচী নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মতুয়াদের বিজেপি ভুল বুঝিয়ে তাদের দলে টেনেছিল। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। যদিও শাসকদলের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো এবং ভয় দেখানোর মতো অভিযোগ তুলেছে। বিজেপির বক্তব্য, কোনও মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক নয়, এই সমস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাই কার্যত ভয় দেখিয়ে তাঁদেরকে নিজেদের দলে নিয়েছে তৃণমূল।