Sukanta Majumdar: 'পুলিশ দলদাস হলে, এরকমই হবে', গুলিবিদ্ধ কনস্টেবলকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তের
Sukanta Attacks TMC WB Police: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে 'বিবাদ' ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ বসিরহাট থানার কনস্টেবল। কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ?
উত্তর ২৪ পরগনা: তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে 'বিবাদ' ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। আক্রান্ত পুলিশ কনস্টেবলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাসকদলকে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিন তিনি বলেন, 'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পুলিশ এখন টার্গেট..,এই পুলিশ এখন যদি দলদাস হয়ে যায়, এরকমই অবস্থা হবে। আজকে কনস্টেবলের গায়ে গুলি লেগেছে, এরপরে এসপি-দের গায়ে গুলি খাওয়ার সময় আসবে। তৃণমূল কংগ্রেস বোম, বন্দুক জড়ো করে, কে পঞায়েতে লুঠ করার সার্টিফিকেট পাবে কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা পাবে, কে তা লুঠ করার দায়িত্ব পাবে, সেই নিয়ে লড়াই চলছে।'
তৃণমূলের ‘বিবাদ’ ঠেকাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বসিরহাট থানার কনস্টেবল। তৃণমূলের বৈঠক ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ, মারামারি হয় বলে অভিযোগ। সেই থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিশ। তৃণমূলের ‘বিবাদ’ মেটাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। কনস্টেবল প্রভাত সরকারের পিঠে গুলি লাগে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পুলিশ কর্মী। ঘটনায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ।
মূলত,ঘটনার সূত্রপাত নিমদাঁড়িয়া কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকচূড়া বাজার এলাকায় গতকাল সন্ধ্যার। একটি দলীয় কার্যালয়ের নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সেই সময়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বসিরহাট থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশ পৌঁছলে কনস্টেবল প্রভাত সরকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কেন এত বড় গন্ডগোল তা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন, গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ মমতার, মেরামতি করতে তড়িঘড়ি তৎপর পুরসভা!
অন্যদিকে, গতকালও ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলে। বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসহরী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। তাতে দলেরই এক কর্মী আহত বলে খবর মেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মী বিপত্তারণ ভাণ্ডারি-সহ চার জন বাসহরী গ্রাম থেকে ওই পঞ্চায়েতেরই সেকেন্দ্রাপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডলের বাড়িতে অগ্রহায়ণে কালীপুজোর অনুষ্ঠানের জন্য চাঁদা আনতেই তাঁরা বেরিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু কিছুটা দূরে বসহরী গ্রামেই তাঁদের পথ আটকান পদুমার বর্তমান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তরুণ গড়াইয়ের লোকজন, অন্তত তেমনই অভিযোগ। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন লাঠি, রড ও টাঙ্গি নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয়েছে বলে দাবি।