Tapas Chatterjee: 'ঈশ্বর ওদের ক্ষমা করুন', দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই 'যিশুখ্রিস্ট' আওড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক
Tapas Attacks Sabyasachi তৃণমূল চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে এক হাত দিলেন এবার তাপস চট্টোপাধ্যায়, কী বললেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক ?
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বিধান নগর পুরো নিগমের তৃণমূল চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে (Sabyasachi Dutta) এক হাত দিলেন এবার রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় (Tapas Chatterjee) ও তার কন্যা (Daughter)।
দুর্নীতির অভিযোগ তাপসের বিরুদ্ধে
তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কারোর করুণায় তিনি তৃণমূলে আসেননি। কাজের মানুষ চুপচাপ ছিলেন। তাই তৃণমূলের তরফ থেকেই তাকে আহ্বান করে, দলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, সিএজি রিপোর্টে যদি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকতো, তাহলে সেই অভিযোগটা এখন সামনে আসতো।
'যিশুখ্রিস্ট' আওড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়
যিশুখ্রিস্টের কথা উদ্ধৃত করে তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, যদি কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ভুল বলে থাকেন, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করবেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করেন বিধান নগর পুরো নিগম এলাকায় কে কত কাজ করেছে, বুদ্ধিজীবীদের সামনে মুখোমুখি বসিয়ে হিসাব দেবেন। এর আগে রাজারহাটি একটি অনুষ্ঠানে এসে সব্যসাচী দত্ত, তাপস চট্টোপাধ্যায়কে বেনজির ভাবে আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময় ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি তাপস চট্টোপাধ্যায়। তবে গতকাল বিধান নগর পুরো নিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অনুষ্ঠানে এসেএমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।
আরও পড়ুন, নজর এড়াতেই কি বারবার ড্রাম-বালতি ? ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমে
কী বলেছিলেন সব্যসাচী ?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজারহাটের সভা থেকে নাম না করে সব্যসাচী দত্তর নিশানায় তাপস চট্টোপাধ্যায়। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগে তীব্র আক্রমণ। 'আড়াই হাজার ছেলের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়ে গেছে, আজ কোথায় তারা, আমি নেতা হলাম, বিধায়ক হলাম, ডেপুটি মেয়র হলাম', বিমানবন্দরের দেওয়া পুরকর থেকে স্টেডিয়ামের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। সব্যসাচীর অভিযোগ নিয়ে সেসময় কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তাপস চট্টোপাধ্যায়। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে ওই তোপ দাগা হলেও, আঁচ যে গনেগনে ছিল, তা এবার প্রকাশ্য়ে এল।
দলীয় নিশানা আগেও বহুবার
তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল বা বাদানুবাদ এই প্রথমবার নয়। একাধিকবার মৌখিক উষ্ণ বাক্যবিনিময় এবং তারপর তাতেও না মিটলে, সংঘর্ষের একাধিক উদাহরণ রয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সে শাসকদলই হোক কিংবা প্রধান বিরোধী দল। বারবারই এই প্রেক্ষাপট উঠে এসেছে। এবং যার জেরে চাপের মুখে পড়েছেন দলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। যদিও এবার সেই একই ছায় ফির নিউটাউনে।