Kakoli Ghosh Dastidar: 'আগে ভোট দিন, পরে রাস্তা হবে', মন্তব্য কাকলি ঘোষ দস্তিদারের
Kakoli Ghosh Dastidar Voting Controversy:' আগে ভোট দিন, পরে রাস্তা হবে', 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের । এই শুনে চটলেন স্থানীয়রা, কী বললেন তাঁরা ?
উত্তর ২৪ পরগনা: 'আগে ভোট দিন, পরে রাস্তা হবে', 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে বনগাঁয় (Bangaon) গিয়ে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের (Kakoli Ghosh Dastidar)। এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ, সংস্কারের দাবিতে সরব স্থানীয়রা। তখনই 'ভোট দিলে রাস্তা হবে, পরেরবার ভোট দিক, তারপর করব', বলে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের। তবে ততক্ষণে 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে সরব হন এক মহিলা। তিনি বলেন, 'সবাই কি বিজেপি নাকি ? সবাই তো বিজেপির না, তৃণমূলের তো আছে। আমরা তৃণমূলের, তাহলে আমরা তৃণমূলকে ভোট দেব না। আমরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ভোট দেব না। তারপর দেখি পঞ্চায়েত কী দাঁড় করায় তৃণমূল !' যদিও পরে বলেন তিনি, 'মজা করছিলাম, রাস্তার জন্য লিখে নেওয়া হয়েছে, রাস্তা হবে', আশ্বাস কাকলির।
দিদির দূতেও এবার তৃণমূলের কোন্দল! (TMC Clash) দলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির আলাদা আলাদা কর্মসূচিতে যোগ দিতে হল কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে (Kakoli Ghosh Dastidar)। সাংসদের সামনেই বচসায় জড়াল দুই গোষ্ঠী। বিক্ষোভের মুখে দরজা বন্ধ করে বৈঠক করতে হল তৃণমূল সাংসদকে। গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে শাসকদলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)। দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে প়ড়তে হচ্ছে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের। এরইমধ্যে, উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ায় দিদির দূত কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। দলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে যোগ দিতে হল তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। শুধু তাই নয়, সাংসদের সামনেই বচসায় জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী।পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে, দরজা বন্ধ করে বৈঠক করতে হয় তৃণমূল সাংসদকে।
আরও পড়ুন, বকেয়া DA নিয়ে 'প্রশ্ন করায়' শোকজ প্রধান শিক্ষককে !
কিন্তু, তৃণমূলের একপক্ষের অভিযোগ, সেই দলীয় কর্মসূচি অমান্য় করে, কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে অন্য়ত্র নিয়ে যান স্থানীয় ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতি। বাদুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল নেতা ও সহ সভাপতি ঠাকুরচরণ মণ্ডল নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে মিসগাইড করে নিয়ে যায়। ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সভপতি নিয়ে যান। বুঝতে পারেন যখন, তখন ২ মিনিট ছিলেন। সাংসদ যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি সাথে সাথে সেখান থেকে দলীয় নির্দেশ সূচি মেনে তিনি তাঁর কর্মসূচিতে যান।যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় ব্লক সভাপতি।কাটিহাট তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি প্রকাশ সর্দারের দাবি এই ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আবদুর রহিমের কিছু অনুগামী সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি চক্রান্ত করে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।